এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > জোট রক্ষা করতে বিতর্ক নয়, নয়া সাফাই বাম-কংগ্রেসের!

জোট রক্ষা করতে বিতর্ক নয়, নয়া সাফাই বাম-কংগ্রেসের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কংগ্রেসের সঙ্গে যে বামেদের কোনোকালে জোট হতে পারে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে দুই দল অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়ার কারণে একে অপরের ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করা এই দুই রাজনৈতিক দল 2016 সালে নিজেদের মধ্যে জোট স্থাপন করেছে। পরবর্তীতে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে। কিন্তু ভালো ফল হয়নি। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে পারেনি বাম-কংগ্রেস।

এদিকে ভরাডুবি হওয়ার পরেই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিগত সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। যেখানে “কংগ্রেসী গুন্ডা” শব্দ প্রয়োগ করতেও দেখা গেছে তাকে। আর এই শব্দ নিয়েই আপত্তি তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের মধ্যে। সিপিএমের কাছে কড়া চিঠি দিয়ে গোটা ঘটনার বিবৃতি চাইতে শুরু করেছে হাত শিবির।

যদিও বা এখন বিতর্কে প্রবেশ করার সময় নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। স্বাভাবিক ভাবেই সাইবাড়ি নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়েছে দুই দলের মধ্যে এবং তা ধীরে ধীরে তরজার আকার নিচ্ছে, তখন জোট ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবং নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করতে দুই দল বিতর্ক থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার চেষ্টা শুরু করে দিল।

বস্তুত, সাঁইবাড়ি নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ে দুজনেই পোস্ট করেছিলেন। যেখানে “কংগ্রেসী গুন্ডা” শব্দ উল্লেখ করা ছিল। আর তারপরেই এই গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিপিএমকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি এখন এই সমস্ত বিতর্কিত কথা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। স্বাভাবিক ভাবেই জটিলতা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে দুই দলের পক্ষ থেকেই সমন্বয় রক্ষা করে সাইবাড়ির ঘটনা নিয়ে বিতর্ক না বাড়ে এবং জোট ভেঙে না যায়, তার জন্য নেওয়া হল পদক্ষেপ।

একদিকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজেদের মত করে সাফাই দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, এই ঘটনা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। অর্থাৎ ভেতরে ভেতরে যাই হোক না কেন, বাইরে যে তারা নিজেদের সম্পর্ক অটুট রেখেছে এবং জোট ভেঙে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা যে সম্পূর্ণরূপে অমূলক, সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “মীনাক্ষীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও কিছু করেনি। ওর নামে কেউ পোস্ট করেছে। বিকাশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হয়নি। তবে ওর বক্তব্য শুনেছি। এটা বলতে পারি, এখন দলের অবস্থান এটা নয়। এগুলো দলের বক্তব্য নয়।” অন্যদিকে সাইবাড়ির কংগ্রেসের সঙ্গে এখনকার কংগ্রেসের কোনো সম্পর্ক নেই বলে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই গোটা ঘটনা নিয়ে সিপিএমকে কড়া চিঠি দেওয়া হলেও সুর নরম করতে দেখা গেছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। এদিন তিনি বলেন, “বিকাশবাবু দক্ষ আইনজীবী, সজ্জন ব্যক্তি। তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি মাঝে মাঝে কিছু বাহাদুরি দেখে ফেলেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি যা বলেছেন, তা সিপিএমের দলীয় বক্তব্য বলে মনে করি না। তাছাড়া একটা প্রাগৈতিহাসিক একটা সমস্যা নিয়ে এখন বিতর্কের কোনো বাহাদুরি আছে বলেও মনে করি না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাম এবং কংগ্রেস দুই দল উপলব্ধি করতে পারছে, রাজ্যে তাদের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও দখল করতে পারেনি এই দুই রাজনৈতিক দল। বিধানসভায় তাদের প্রতিনিধি শূন্য। আর এই পরিস্থিতিতে যদি নিজেদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে পথচলা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই কথা মাথায় রেখে সাঁইবাড়ি নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বিতর্কিত পোস্ট করার পরেও তা ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী বাম এবং কংগ্রেস। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!