এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃনমূল নয় 2019 এ বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর “দূত”

তৃনমূল নয় 2019 এ বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর “দূত”

বহুদিন ধরে জল্পনা চলছে। সারা দেশে মোদি বিরোধীতায় তৃনমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এক হলেও বাংলায় তাদের জোট হবে কি না। কেননা, বাংলায় শাসকদল তৃনমূল এবং বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের একের পর এক বিধায়ক বর্তমানে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ায় ভাঙন ধরেছে বিধান ভবনে। তাই এহেন পরিস্থিতিতে ঠিক কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় কংগ্রেস শিবির।

আবার বাংলায় আগামী লোকসভা ভোটে তৃনমূল এবং বিজেপিকে দমাতে সেই কংগ্রেসের হাতই ধরতে চায় বাম শিবির। বিভিন্ন বৈঠকে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন বঙ্গের বাম নেতারা। তাই লোকসভা ভোটে তাদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক কী হবে তা ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই। তবে বামেদের এই আশায় কিছুটা হলেও এবার চিড়ে ভিজতে চলেছে। কেননা, মহাষ্টমীর সকালে কোলকাতায় এসে সেই তৃনমূল বিদ্বেষের সুরই শোনা গেল কংগ্রেসের সলমন খুরশিদের গলায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের পুজোয় অষ্টমীর অঞ্জলী দিতে কোলকাতার পুজো মন্ডপে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পড়ে যাওয়ায় এবার সেই কোলকাতায় নিজে আসতে না পেরে সলমন খুরশিদ এবং উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে রাজ বব্বরকে পাঠান তিনি।

জানা যায়, কলেজ স্কোয়ার এবং মহম্মদ আলি পার্কে পুজো দিয়ে সেই রাজ্যের শাসকদল তৃনমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সলমন খুরশিদ বলেন, “আগামী ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে সরানো আমাদের প্রধান লক্ষ। তৃনমূল সেই রাস্তায় হাটলেও বাংলায় তারাই কংগ্রেসকে গলা টিপে মারতে চাইছে। এইভাবে চলতে পারেনা।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কথা বলে আদতে রাহুল গান্ধীর বার্তাই রাজ্যের নেতাদের কাছে যেমন পৌছে দিলেন সলমন খুরশিদ ঠিক তেমনই প্রবল তৃনমূল বিরোধী অধীর চৌধুরী, সোমেন মিত্র এবং আব্দুল মান্নানদের খুশি রাখার চেষ্টা করলেন তিনি। তবে শুধু দলের ভেতরে প্রবল তৃনমূল বিরোধী নেতারাই নয়, খুশি বাম দলগুলিও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

এদিন এই প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কংগ্রেস হাইকমান্ডের নেতা শহরে এসে তৃনমূলের সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন তার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ। তৃনমূল কেন্দ্রে মোদিকে সরাতে চাইলেও রাজ্যে সেই মোদি বিরোধী দলগুলিকেই টুটি চিপে ধরছে। সত্যিই এইভাবে চলতে পারছে না।” তবে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সীতারাম ইয়েচুরিরাই। তবে এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি বিরোধীতায় একমাত্র মুখ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা সবাই জানে। কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।” তবে শেষপর্যন্ত আগামী লোকসভা ভোটে এই রাজ্যে কংগ্রেসের সাথেই বামেরা হাত ধরে কি না সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!