প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহু আশা ছিল, বিধানসভা নির্বাচনে তিনি টিকিট পাবেন। কিন্তু জোট ধর্ম পালন করতে গিয়েই এবং আনুগত্যের প্রমাণ দিতে গিয়ে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন বিহার পুলিশের সদ্য-প্রাক্তন ডিজে গুপ্তেশ্বর পান্ডে। জানা গেছে, সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজতেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নীতীশ কুমারের দলে যোগদান করেছিলেন গুপ্তেশ্বর পান্ডে।

যেখানে আগামী বিধানসভা ভোটে বক্সার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি প্রার্থী হবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে এনডিএ জোটের পক্ষ থেকে আসন সমঝোতা সামনে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে বিজেপি। কিন্তু পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার আশা করলেও, শেষ পর্যন্ত গুপ্তেশ্বর পান্ডের সমস্ত আশা ভেঙে গেল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন পরশুরাম চতুর্বেদী। তিনি ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর।

কিন্তু বহু আশা নিয়ে নিজের প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর চিন্তাভাবনা করলেও, শেষ পর্যন্ত যেভাবে তার এই আশাভঙ্গ হল, তাতে কি তিনি আবার নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে গুপ্তেশ্বর পান্ডে বলেন, “নিশ্চয়ই কোনো রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা ছিল। তাই এমন হয়েছে।” একাংশ বলছেন, গুপ্তেশ্বর পান্ডে আশা করে তার প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং তারপর তারা আশা ভঙ্গ হল, তাতে তার ক্ষোভ মেটাতে ময়দানে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মনে করা হচ্ছে, অন্য কোনো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাকে প্রার্থী করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 23 সেপ্টেম্বর নিজের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এই গুপ্তেশ্বর পান্ডে। আর এর পরেই গত 27 সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাংলোয় গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউতে যোগ দেন তিনি। প্রশাসনিক পদে থাকার সময় থেকেই জেডিইউয়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে আসছিল। সাম্প্রতিক কালে তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে যেভাবে প্রার্থী হওয়ার আশা করেছিলেন, তাতে তার সেই আশাভঙ্গ হয়েছে। আর তারপরেই মনে করা হচ্ছে যে, গুপ্তেশ্বর পান্ডে এবার কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নীতীশ কুমার তার মান ভাঙানোর জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং ভবিষ্যৎ পন্থা হিসেবে কি সিদ্ধান্ত নেন গুপ্তেশ্বর পান্ডে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।