জল্পনা ছিল যে যত লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসবে – রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে ততই গতি বাড়াবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এমনকি, তদন্তের স্বার্থে বহু প্রভাবশালীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গ্রেপ্তারও করা হতে পারে। আর এবার চিটফান্ড কাণ্ডে, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নামী সংবাদপত্রের এডিটর সুমন চট্টোপাধ্যায়।

এর আগেও সুমনবাবু চিটফান্ড ইস্যুতে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে বারেবারে অভিযোগ উঠেছিল – তিনি নাকি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন এবং তথ্য গোপন করছেন। আজও তাঁকে দফায় দফায় জেলার করেন সিবিআইয়ের দাপুটে গোয়েন্দারা। কিন্তু, আজও তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। আর তাই, দিনের শেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই।

প্রসঙ্গত, সুমনবাবু কলকাতার যে নামি সংবাদপত্রের দায়িত্ত্ব এডিটর হিসাবে সামলাচ্ছেন – তা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বাংলা সংস্করন। এই সংবাদপত্রের সঙ্গে ওই বেআইনি অর্থলগ্নীকারি সংস্থা যুক্ত ছিল না। কিন্তু এই সংবাদপত্রের দায়িত্ত্ব নেওয়ার আগে সুমনবাবু একটি সংবাদপত্র চালাতেন – সেখানেই ওই চিটফান্ড সংস্থা লগ্নি করে বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে, সেই চিটফান্ড সংস্থার দুর্নীতি নিয়েও তদন্ত চলছে – আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুমনবাবুকে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়।

কিন্তু, দিনের শেষে তদন্তে বারবার অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অপরাধে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হতে হল তাঁকে। কলকাতার অন্যতম প্রখ্যাত সাংবাদিক হওয়ায় – তাঁর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির চেনাজানা আছে। এমনকি, অতীত দিনের এক বিখ্যাত অভিনেত্রী ও পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে একটি সংবাদের চ্যানেলও খোলেন।

যে পত্রিকার সঙ্গে ওই বেআইনি অর্থলগ্নীকারি সংস্থার সম্পর্কের জেরে সুমনবাবুকে জেরা র শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হল – তার সাথে সুমনবাবু দীর্ঘ তিন বছর যুক্ত ছিলেন। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে – এবার কি তাহলে সুমনবাবুর সূত্র ধরে আরো বেশ কিছু প্রভাবশালীকে কি সিবিআই জেরা জন্য ডাকবে? সুমনবাবুরই পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে? কি পদক্ষেপ নেবে সুমনবাবু বর্তমানে যে সর্বভারতীয় সংবাদগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁরা? এই সব প্রশ্নের উত্তরই এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।