এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও “জয় শ্রী রামের” গর্জন শুনতে হলো মুখ্যমন্ত্রীকে

বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও “জয় শ্রী রামের” গর্জন শুনতে হলো মুখ্যমন্ত্রীকে


কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে বারবার এই ঘটনাটিই ঘটতে চলেছে। সাম্প্রতিক কালে যে সমস্ত অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তিনি, সেখানেই তার গাড়ি লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াতে রীতিমত রনংদেহী মেজাজে অবতীর্ণ হতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও যে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনতে হবে তা আঁচ করতে পারেননি কেউই।

জানা গেছে, গতকাল বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে হেয়ার স্কুলে তখন সবে মাইকে বক্তব্য রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর সেই সময়ই একাধিকবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়। কোথা থেকে এই ধ্বনী উঠে এল, তা জানতে তড়িঘড়ি ওয়াকিটকির মাধ্যমে পুলিশকর্মীরা চারিদিকে খোঁজখবর শুরু করে দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই আতঙ্কে ছিলেন হয়তো বা এই জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে এবার বিজেপির ঘাড়ে প্রকাশ্যেই দোষ চাপাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার আর সেই ভুল করলেন না তিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারা গেল, হিন্দু স্কুলে তিন তলার কাছ থেকে খুদে পড়ুয়ারা এই ধ্বনী দিচ্ছিলেন। আর খুদে পড়ুয়াদের এই কান্ড দেখে রীতিমতো হতবাক সকলে।

পুলিশকর্মীদের অনেকেই সেই সময় থেকে আতঙ্কে ছিলেন যে, যদি মুখ্যমন্ত্রী তার অনুষ্ঠান শেষ করেই এই স্লোগান ফের শুনতে পান, তাহলে তো তার রোষের মুখে পড়তে হবে সকলকে। আর তাইতো মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে যাতে এই জয় শ্রীরাম ধ্বনি আর না দেওয়া হয়, তার জন্য পুলিশের তরফে বেশ কয়েকজনকে সেই স্কুলে পাঠানো হয়।

এদিকে বেলা আড়াইটার পর যখন হেয়ার স্কুল থেকে মিছিল শুরু হয়, ঠিক তখনই রাস্তায় বিশিষ্টজনেদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কানে যাতে সেই জয় শ্রীরাম স্লোগানের বিন্দুমাত্র না আসে, তার জন্য সজোরে জয় হিন্দ ও জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই যাত্রাপথে সেইভাবে কোনও জনসমাগম চোখে পড়েনি। এদিকে টানা কুড়ি মিনিট পথ হেঁটে বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে ঢুকে সেই বিদ্যাসাগরের পূর্নাবয়ব মূর্তির উন্মোচন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি উদ্বোধন অপেক্ষা জয় শ্রীরাম স্লোগান জ্যোতি মুখ্যমন্ত্রীর কান্না আসে তার জন্যই এদিন বেশি তৎপর ছিল প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও হিন্দি স্কুলের ছেলেমেয়েরা যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে উঠলেন এবং তা রোধ করতে যেভাবে প্রশাসন সচেষ্ট হল, তাতে কতদিন এই কণ্ঠরোধের রাজনীতি বাংলায় চলবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!