এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রামের পর শ্রীকৃষ্ণ! বিধানসভার আগে বিজেপির ‘অস্ত্রেই’ বিজেপিকে মাত দেওয়ার পরিকল্পনায় তৃণমূল?

রামের পর শ্রীকৃষ্ণ! বিধানসভার আগে বিজেপির ‘অস্ত্রেই’ বিজেপিকে মাত দেওয়ার পরিকল্পনায় তৃণমূল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট অযোধ্যা মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর এবং ভূমি পুজো নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রধান দুটি দলের মধ্যে এখনো চলছে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। কিন্তু তার মধ্যে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এবার দেখা গেল রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি জাঁকজমক সহকারে তা পালন করছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দলও পিছিয়ে থাকার নয়। অবশ্য তাঁরা এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিয়েছেন জন্মাষ্টমী উদযাপন এর জন্য। আর এই নিয়ে এবার মালদা জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

জানা যাচ্ছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপূজার দিন রাজ্য জুড়ে লকডাউন থাকলেও মালদা জেলার বেশ কিছু জায়গায় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রামের পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। এবার জন্মাষ্টমী পালনেও তাঁরা যথেষ্ট তৎপর ছিল বলে জানা যাচ্ছে। জন্মাষ্টমীর দিন ইংরেজবাজার শহরের পুড়াটুলি এলাকায় বিজেপির সদরদপ্তরের পাশেই হচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা কার্যালয়। আর এই দুই কার্যালয়েই জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের বিশাল বড় কাট আউট লাগানো হয়।

জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে জন্মাষ্টমীর দিন পূজার্চনার ও প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়। একই সাথে এদিন পুরাতন মালদহের ঈশ্বরপুর, আটমাইল, হবিবপুর, গাজল, মানিকচক, কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ, বৈষ্ণবনগরেও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে জন্মাষ্টমী পূজার আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, পূজার্চনা না করলেও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়াতে এদিন তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে  শুভেচ্ছা জানানোর ঢল নামে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিজেপি ও তৃণমূলের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে এই বাড়বাড়ন্ত দেখে মালদা জেলার সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র এদিন দুই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগাভাগি করে রাজনীতি করছে তৃণমূল ও বিজেপি। যার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে দু’দলের মধ্যে চলছে দড়ি টানাটানি।” অন্যদিকে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল এদিন জানিয়েছেন, “আমরা সমস্ত ধর্মকেই সম্মান করি। রাম, কৃষ্ণের পুজো আমরা বাড়িতে বরাবরই করে এসেছি। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।”

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার এদিন জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় প্রসঙ্গে জানান, “মেরুকরণের রাজনীতি তৃণমূল করে না। সমস্ত উৎসব, অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছাবার্তাই এখন সোশ্যাল মাধ্যমে লেখা হয়।” বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবির যে বরাবরই রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিলিয়ে প্রচার চালায়, তা সবার জানা। কিন্তু এবার রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে,বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল শিবিরও কি ধর্মীয় অস্ত্রেই বধ করতে চাইছে বিজেপিকে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!