এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জয় শ্রীরামের পাল্টা মা-মাটি-মানুষের জয়- আমিত শাহকে কড়া ভাষায় জবাব হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার

জয় শ্রীরামের পাল্টা মা-মাটি-মানুষের জয়- আমিত শাহকে কড়া ভাষায় জবাব হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের উত্তাপ যত বাড়ছে, ততোই রাজনৈতিক দলগুলির সংঘাতের পরিভাষাও নিত্যদিন বদলে যাচ্ছে। হেভিওয়েট নেতা- মন্ত্রীদের যেমন দেখা যাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক প্রচারে, ঠিক সেভাবেই বর্তমানে মাত্রা পাচ্ছে হেভিওয়েট বক্তব্য। আজ রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা অমিত শাহ। 

কোচবিহার থেকে ঠাকুরনগর দাপিয়ে সভা করলেন তিনি এবং প্রতিটি সভা থেকেই আক্রমণের লক্ষ্য রেখেছেন এক এবং একমাত্র তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে তীব্র কটাক্ষ সহকারে বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রীকে, ভোট শেষ হতে হতে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে হবে।

আর তারই পাল্টা দিলেন অমিত শাহকে হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ব্রাত্য বসু। এদিন ব্রাত্য বসু পাল্টা বলেন, মে মাসের পর অমিত শাহকে মা-মাটি-মানুষের জয়ের স্লোগান দিতে হবে। প্রসঙ্গত, জয় শ্রীরাম ধ্বনি গেরুয়া শিবিরের মুখ্য স্লোগান পাশাপাশি তৃণমূল শিবিরের বরাবরের স্লোগান মা মাটি মানুষের জয়। কে কার স্লোগানে ধরা দেবেন তাই নিয়ে দিনভর তরজা চলল তৃণমূল ও বিজেপির। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ব্রাত্য বসু এবার সরাসরি বিজেপির অন্যতম সেনাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বাংলার মানুষ বিজেপিকে বোঝাবে মা মাটি মানুষের জয় কাকে বলে!

পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি এই রাজ্যে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছে, একইসাথে উগ্র ধর্মান্ধতার প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। রামের নাম করে বিজেপি একপ্রকার ধর্মীয় উগ্রতা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে দাবি করেন ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি নারায়ণী সেনার আসল ইতিহাস বিজেপি জানে না বলে এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। 

কিছুদিন যাবত বাংলার রাজনীতি তেতে উঠেছে জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে। প্রসঙ্গত, নেতাজির জন্মদিনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি স্লোগান দেওয়ায়, তা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গিয়েছে। এদিকে অমিত শাহের অভিযোগ, জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলে তৃণমূল নেত্রী রেগে যাওয়ার কারণ হল ভোট বাঁচাতে তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘুদের তোষণের রাজনীতি করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই ভোটব্যাঙ্কের তুষ্টিকরণ এর জন্যই জয় শ্রীরাম স্লোগানে এত আপত্তি তৃণমূল নেত্রীর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজবংশীদের মন জয়ে বক্তব্য রাখেন এদিন। এমনকি অমিত শাহ জানিয়েছেন, রাজবংশীদের দেবতা ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তি তৈরি হবে। কিন্তু ব্রাত্য বসু এদিন জানান, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই রাজবংশীদের দেবতা ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ তৈরি করেছেন। এমনকি তাঁদের নারায়ণী সেনাকেও রাজ্য পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। রাজবংশীদের জন্য স্কুল তৈরি হয়েছে। তাই উন্নয়নের হাত ধরে রাজবংশীরা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই জয়যুক্ত করবে বলে দাবী ব্রাত্যর।

প্রসঙ্গত, বিজেপি পরিবর্তন যাত্রার নাম করে বিভেদের রাজনীতি করতে চাইছে বলে তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের প্রায় প্রত্যেকেই একই কথা বলছে। এদিনও তার অন্যথা হলোনা। তৃণমূল বিধায়ক ব্রাত্য বসু এককথায় দাবি জানাচ্ছেন, গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের নির্ঘণ্ট যত কাছে আসছে, ততই পাল্লা দিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে রাজ্যে। আর সে ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপির কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষ নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি। সেক্ষেত্রে কে জিতবে মানুষের মন, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুটা সময়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!