এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূল-সিপিএমের!

জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূল-সিপিএমের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুই দলের রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে দুই দলের সুর যেন এক হয়ে উঠল। এমনিতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়বাড়ন্ত করছে বলে অভিযোগ করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃতীয় দফার ভোটকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরকে। বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুর্ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

আর তার মাঝেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে তারকেশ্বরে। আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার রাতে তারকেশ্বরের 168 নম্বর বুথের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকে আটজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু রাত আটটার সময় বন্ধুর বাড়ি থেকে বই নিয়ে ফেরার সময় এক নাবালিকা ছাত্রীকে রাস্তায় একা পেয়ে মুখ চেপে ধরেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। পরবর্তীতে স্কুলের পাশে একটি বাগানে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

তারপর টাকার লোভ দেখিয়ে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এরপর সেই নাবালিকা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। তবে ততক্ষণে সেই জওয়ান ছুটে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে সেখান থেকে বের করে জুতো দিয়ে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষের নিরাপত্তার জন্য রাজ্যে এসেছে, তারা কেন এইভাবে মহিলাদের অসম্মান করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিজেপি কর্মীর ভূমিকা পালন করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মহিলাদের অসম্মান করছে. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে রাজ্য পুলিশে যদি অপসারণ হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে কেন হবে না?” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা ঠিক ভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না।”

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে তৃনমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে অন্যতম সিপিএম প্রথম থেকে দাবি করেছিল, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য পুলিশকে দিয়ে করানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা হয়েছিল।

কিন্তু ভোটের মধ্যে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী অভিযুক্ত হলেন, তাতে তৃণমূল এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া সামনে আসতে শুরু করল। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!