এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জয়নগরে শুট আউট – গ্রেপ্তারির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য – জানুন বিস্তারিত

জয়নগরে শুট আউট – গ্রেপ্তারির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য – জানুন বিস্তারিত

তৃণমূল কংগ্রেসের শাখা সংগঠনের ব্লক নেতা সরফুদ্দিন সহ তিনজনের খুনের ঘটনায় ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে জয়নগরে। এই হত্যাকান্ড আরো একজন হাতে এল পুলিশের। নাম আরমান মাঝি। এ নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরমান আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিল। অপরেশান চলাকালীন সে বন্দুক,বোমার জোগান দিত এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

এদিন এই ঘটনায় জড়িত সাতজন অভিযুক্তকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বারুইপুর মহাকুমা আদালত। প্রথম পর্যায়ে ধৃত চারজনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ধৃতদের জেরার মারফত উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে সরফুদ্দিন খুনের জন্য ভাড়াটে গুন্ডা ঠিক করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এক্ষেত্রে মাতব্বর হিসাবে নাম পাওয়া গেছে বাবুয়া ফিরোজের। তবে এর পেছনে আরো বড় মাথা আছে বলেই গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে পুলিশ। তবে বাবুয়াকে বাগে আনতে পারলে আরো তথ্য সামনে আসবে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

পুলিশ সূত্র থেকে আরো জানা গিয়েছে, বিগত একমাস ধরে সরফুদ্দিনের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর জন্যে ১০-১২ জনকে কাজে লাগানো হয়েছিল। সরফুদ্দিন কোথায় যাচ্ছে,কার সঙ্গে দেখা করছে,কী কী কথা হচ্ছে সবই পুলিশের কানে পৌছে যেতো ঠিক সময়ে। জেরায় উঠে এসেছে,সরফুদ্দিন বেশিরভাগ সময়ই বিধায়কের ছায়াসঙ্গী হয়েই থাকত। ঘটনার দিন দুর্গাপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে সরফুদ্দিনকে একা বসতে থাকার খবর পেয়ে খুন করার প্ল্যান করে ফেলে দুষ্কৃতিরা।

এমনকি প্রেট্রোল পাম্পের দুটো সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্যে একটি যে খারাপ সেটাও খবর পেয়েছিল হামলাকারীরা। কিন্তু পাশেই পেট্রোল পাম্পের মালিকের বাড়ির বাইরে রাস্তার দিকে মুখ করে বসানো আরও দু’টি সিসিটিভি রয়েছে,সেই বিষয়টি অজ্ঞাত ছিল তাদের। ফলত কীভাবে খুন করা হয়েছে সরফুদ্দিনকে সমস্ত রেকর্ডই পাওয়া যায় সিসিটিভি ফুটেজে। অভিযুক্তরা জেরায় বলেছেন,উল্টো দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে এটা যদও আগেই জানা যেত,তাহলে সেটাও নষ্ট করে দিত। কিন্তু সেই তথ্য না জানার মাশুল এভাবে ধরা পড়ে দিতে হল তাদের।

অন্যদিকে, জয়নগরের পরিস্থিতি এখনো থমথমে। গতকালও দক্ষিণ বারাসাত ও জয়নগর জুড়ে গাড়ি চলাচল কম হয়েছে রাস্তায়। এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ দেখাদেখিই কার্যত বন্ধ শাসকদলের বিধায়ক এবং গৌর সরকার শিবিরের মধ্যে। পরিস্থিতি নাকি এতোটাই খারাপ যে গৌর সরকারের দলবলেরা জয়নগর যেতেই ভয় পাচ্ছেন। একইরকম ভাবে বিধায়কের অনুগামীরা বারাসাত মুখো হতে পারছেন না। জয়নগর শহরে একসঙ্গে তিনজনের খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরাও। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল বক্তব্যে জানিয়েছেন,জয়নগর শান্তির জায়গা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও এরকম হিংসার নজির এখানে দেখা যায় না। আচমকা বোমা এবং গুলি চালিয়ে পর পর তিনজনকে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। একই সুরে কথা বললেন এসইউসির রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তরুণকান্তি নস্কর। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এবং হানাহানিই মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করেছে,এমনটাই দাবী তাঁর। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর থানায় দলের তরফ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!