এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > শক্তঘাঁটি জয়নগরও কি টলমল করছে? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মঞ্চেই বিস্ফোরক তৃণমূল মহাসচিব

শক্তঘাঁটি জয়নগরও কি টলমল করছে? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মঞ্চেই বিস্ফোরক তৃণমূল মহাসচিব


প্রথম থেকেই একটা শঙ্কা ছিল জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃনমূলের জয়লাভ নিয়ে। তবে এই শঙ্কা কোনো বিরোধী দলকে নিয়ে নয়, বরঞ্চ নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে। বস্তুত, এই জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষমতা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গৌড় সরকার বনাম বিশ্বনাথ দাসের মধ্যে তীব্র বিবাদ শুরু হয়েছিল।

এমনকি শাসকদলের দুই নেতার এহেন বিবাদ দেখে সেই ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় স্বয়ং দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আর এরপরই লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মন্ডলকে জেতাতে যাতে সকল নেতা মিলে সেখানে একজোট হয়ে মাঠে নামেন, তার জন্য সেই গৌর সরকার এবং বিশ্বনাথ দাসকে কলকাতায় ডেকে পাঠান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও ফিরহাদ হাকিম।

সেখানে দুই নেতাকে একসাথে পথ চলতে বলা হলেও সেই বৈঠক অতটা ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু এবার সেই জয়নগরে এসে বহুরু হাইস্কুল ময়দানের কর্মী সভায় উপস্থিত সকলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ভুলে গিয়ে এক হয়ে পথ চলার জন্য বার্তা দিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন প্রথমেই বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস সভার সভাপতি হিসেবে তারই বিরোধী গোষ্ঠির নেতা গৌড় সরকারের নাম ঘোষণা করতেই প্রবল হাততালি শুরু হয়। আর এরপরই নিজের শ্যালক তুহিন বিশ্বাসকে দিয়ে গৌড় সরকারের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে আরও কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা হয়। আর এরপর বিশ্বনাথ দাস নিজে গিয়ে গৌড় সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তাকে প্রণাম করেন। যা দেখে অনেকেই বলেন, অবশেষে হয়তো বা কিছুটা হলেও গোষ্ঠী কোন্দল মিটল। চার হাত এক হওয়ায় প্রতিমা দেবীর জেতার ক্ষেত্রে আর কোনোই বাধা রইলো না বলেই মনে করছেন এলাকার তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

অন্যদিকে বিশ্বনাথ দাস এবং গৌড় সরকার দুই নেতা মিলেই এদিনের সভা মঞ্চ থেকে রেকর্ড লিড দিয়ে প্রতিমা মন্ডলকে জেতানোর জন্য শপথ নেন। এদিকে এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুই নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেয় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “এখানে এত ঝগড়া কিসের! এই দলে একজনই নেত্রী। তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখতে পাচ্ছি জনপ্রতিনিধি হয়ে গেলে সে আর দলকে দল বলে মনে করে না। আজ এখানে যারা উপস্থিত আছে যারা বিভিন্ন পদে এসেছে, তারা একমাত্র দলনেত্রীর দয়াতেই এসেছে। তাই সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দিলে আমরা কেউ আর নেতা পদবাচ্য হব না। তখন ন্যাতা হয়ে যাব।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেক লোকসভা কেন্দ্রেই তাদের কাল হিসেবে দাঁড়াতে পারে। আর তাই তো সেই গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য যাতে দলকে হারতে না হয় তার জন্য এখন থেকেই জয়নগরে গিয়ে দলীয় প্রার্থী প্রতিমা মন্ডলকে‌ জেতাতে সেখানকার সমস্ত নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে গিয়ে একসাথে কাজ করবার জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!