এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জয়প্রকাশ মজুমদার হেনস্থাকাণ্ডে ছাড়া পেয়ে গেল দোষীরা, উঠছে প্রশ্ন

জয়প্রকাশ মজুমদার হেনস্থাকাণ্ডে ছাড়া পেয়ে গেল দোষীরা, উঠছে প্রশ্ন


 

“রাজ্যে আইনের শাসন নেই” মাঝেমধ্যেই বিজেপির তরফে এই অভিযোগ করতে দেখা যায়। তবে বিরোধীদের তরফে সবথেকে বেশি যে অভিযোগটি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের বিরুদ্ধে করা হয়, তা হল ভোটে রিগিং এবং বিরোধীদের হেনস্থা করা। তবে এতদিন এই ব্যাপারে বিরোধীরা জনসাধারণের কাছে তাদের উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ দিতে না পারলেও, সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সেই প্রমাণ সকলের চোখের সামনে চলে এসেছে।

যেখানে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে কিল, ঘুষি মারার পাশাপাশি লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যার পরেই রাজ্যজুড়ে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার কথা তুলে ধরে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলার গণতন্ত্রকে তৃণমূল এভাবেই ভুলুন্ঠিত করছে বলে অভিযোগ জানানো হয়।

পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিন এই ব্যাপারে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর এহেন হামলা প্রকাশ্যে আসায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে মনে করেছিল একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইমত মঙ্গলবার বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে করিমপুর থানারপাড়া থানার পুলিশ 5 অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এদিন তাদের আদালতে তোলার সাথে সাথেই জামিন হয়ে যায়। যা নিয়ে এখন পাল্টা প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের প্রশ্ন, যদি গ্রেপ্তারই করতে হবে তাহলেই লোকদেখানো গ্রেপ্তার করে সাথে সাথেই তাদের ছেড়ে দেওয়ার মানে কি!

এক্ষেত্রে দোষীরা তো কোনো সাজাই পেল না। শুধুমাত্র গোটা ব্যাপারটাই আইওয়াশ করার চেষ্টা করল রাজ্য সরকার। তবে এই বিষয়টি নিয়ে যে তারা এত সহজে ছেড়ে দেবে না, তা এদিন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এই বিষয় নিয়ে কমিশনের কাছে যাব। একজন প্রার্থীকে আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন 5 জনকে গ্রেপ্তার করলেও যদি তাদের জামিন না হত, তাহলে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অতটা কথা বলতে পারত না। কিন্তু এদিন গ্রেপ্তার করার সাথে সাথেই যেভাবে সেই ব্যক্তিদের জামিন হয়ে গেল, তাতে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মুখ খোলার নতুন ইস্যু বেরিয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল যে আবার বিপাকে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!