বাংলা যে গেরুয়া উত্থানে রীতিমত ঝড় তুলেছে – তথ্য দিয়ে জানিয়ে দিল বিজেপি শিবির কলকাতা জাতীয় রাজ্য August 30, 2019 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তার ভিত গড়তে শুরু করেছিল এবং তাতে যে তারা রীতিমতো সফল তা বোঝা গেল ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর। লোকসভা ভোটে অভূতপূর্ব ফলই বলে দিচ্ছে বাংলার রুক্ষ জমিতে পদ্মের চাষ বেশ ভালোভাবেই হচ্ছে। থেকে বাংলায় বিজেপির উত্থান শুরু। আর এবার, ২০১৬-এর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে বিজেপি শুরু করেছে বাংলা থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। আর এখানেও গেরুয়া ঢেউ কার্যত সুনামিতে পরিণত হয়েছে – অন্তত গেরুয়া শিবিরের আভ্যন্তরীন রিপোর্টকে মান্যতা দিলে সেকথা মেনে নিতেই হবে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে রীতিমত চমকে দিয়ে, দেশজুড়ে বিজেপি যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে তাতে পশ্চিমবাংলা শীর্ষস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা জানালেন, এযাবৎ পশ্চিমবঙ্গ থেকে আশি লক্ষেরও বেশি মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এদের মধ্যে বেশিরভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রতিনিধি বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি। বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডা সারা দেশজুড়ে চলা বিজেপি সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিজেপিতে যোগদানের সবথেকে বেশি প্রবণতা দেখা দিয়েছে গিয়েছে। ৬ ই জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদী বারাণসী থেকে এই অভিযানের সূচনা করেছিলেন। সেই সময় বাংলা ক্ষেত্রে দলের সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১০ লক্ষ। তা অচিরেই পার হওয়ার পর ৩০ লক্ষে পৌঁছে যায়। তারপর ৬০ লক্ষ এবং বর্তমানে ৮০ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা এক কোটির দিকে এগোচ্ছি।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে, বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হলেও চলতে থাকবে বিজেপির বিশেষ সদস্য পদ গ্রহণের প্রক্রিয়া। বিজেপির মধ্যে সংগঠন মজবুত করার প্রচেষ্টার ফলেই মানুষ আজ দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে বলে মনে করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নাড্ডা বলেন এদিন, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এ রাজ্যে সরকারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন ‘বাংলা থেকে যুবা, মহিলা এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষ জনই সবচেয়ে বেশি সদস্য হয়েছেন।’ বিজেপির কার্যকরী সভাপতির দাবি, ‘সদস্যপদ গ্রহণের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। মানুষ যেভাবে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে, সেভাবেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।’ এদিকে বঙ্গ-বিজেপি শিবির স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই ঘোষণার পরে উচ্ছ্বসিত। লোকসভা নির্বাচনেই গোটা বাংলা জুড়ে বিপুল জনসমর্থন এমনিতেই আস্থা বাড়িয়েছিল। তার উপরে সদস্যতা অভিযানের এই সাফল্য নিশ্চিতভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দেবে বলেই মনে করছেন বঙ্গ-বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা রীতিমত তথ্য তুলে ধরে আরও জানান, শুধুমাত্র বিজেপিতে সদস্যপদ গ্রহণের অনলাইন আবেদন হচ্ছে 5 কোটি 81 লাখ 34 হাজার 242 জন। অফলাইনে এই সংখ্যা হচ্ছে 62 লক্ষ 35 হাজার 967 জন। এখানেই শেষ নয়, মিস কলের মাধ্যমে মোট সাত কোটি নতুন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছে। এবার বিজেপির লক্ষ্য হচ্ছে, যোগদানকারী নতুন সদস্যদের কিভাবে সক্রিয় সদস্যে পরিণত করা যায় । আর তাই সব মিলিয়ে বিজেপি শিবিরে এখন রীতিমত খুশির হাওয়া। বিধানসভায় রাজ্যে ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ করার লক্ষ্যেই এখন কোমর বেঁধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবির। আপনার মতামত জানান -