এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন ২ দিনের সফরে এসেছিলেন নাড্ডা, জানালেন আসল কারণ, জেনে নিন

কেন ২ দিনের সফরে এসেছিলেন নাড্ডা, জানালেন আসল কারণ, জেনে নিন


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন ঘটতে শুরু করেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন বাংলা দখল করবার জন্য বহিরাগত নেতাদের ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে তারা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বঙ্গ সফরে এসে নিজেদের টার্গেট স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা।

জানা গেছে, এদিন ডায়মন্ডহারবারে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পথে তার কনভয়ে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যারপরেই পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যে যেভাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, যেভাবে একের পর এক রাজনৈতিক খুন হচ্ছে, তাতে তৈরি হওয়া আবেগে অনেকে 356 ধারা প্রয়োগ চাইছেন। কিন্তু বিজেপি গণতান্ত্রিক পথে লড়তে চায়।”

অর্থাৎ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপির নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি পক্ষে আওয়াজ তুললেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে এখনই তা চাইছে না, তা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বক্তব্য থেকে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন তার কনভয়ে হামলা নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, “1993 সালে আজকের দিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। লিখেছিলেন চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা শির। একইসঙ্গে আজকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। সেদিক থেকে এটা বাংলার ক্ষেত্রে লজ্জাজনক দিন।”

তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয় হামলা নিয়ে বিজেপির নেতারা সরব হলেও পাল্টা এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের অবস্থান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সত্বেও কিভাবে তারা আক্রান্ত হলেন, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রীকে। এদিন সেই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “কে ইট মারছে, তা দেখা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ নয়। এটা রাজ্য পুলিশের বিষয়।”

আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ তৃনমূলের পক্ষ থেকে গোটা ব্যাপারটিকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলেও, পাল্টা এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় কথা বলছেন, তা মুখে আনতেও তার লজ্জা হয় বলে দাবি করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। পাশাপাশি আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যে তাদের কাছে এখন প্রধান টার্গেট, তাও এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্পষ্ট করে দেন জেপি নাড্ডা।

তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে জনসংঘ এই বাংলায় তৈরি হয়েছিল। এটা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলা। এই বাংলা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। মমতা বাংলার যে চেহারা দিয়েছেন, সেটা আসল বাংলা নয়। আমাদের বাংলাই আসল বাংলা।” কিন্তু তিনি বাংলা সফরে এসে যেভাবে তৃণমূলের দুই প্রধান শীর্ষ নেতা নেত্রীকে টার্গেট করে নিলেন, তাতে তো অশান্তি আরও বৃদ্ধি পেল! একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এবং অন্যদিকে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে সবথেকে বেশি কর্মসূচি করতে দেখা গেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।

তাহলে বেছে বেছে এই দুইটি আসনে টার্গেট করা হল কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা বলেন, “ইচ্ছা করেই রেখেছি‌। কারণ এই জায়গা অসহিষ্ণুতা, দুর্নীতি এবং অনুন্নয়নের উৎসস্থল। আজ যা হয়েছে, তা অসহিষ্ণুতার প্রমাণ। আর জনসাধারণের সঙ্গে এই দুই জায়গায় আমি কথা বলে দেখেছি, কোনো উন্নয়ন পৌঁছয়নি।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নেই, তুলে ধরে বিজেপির বাংলার নেতারা বার বার রাষ্ট্রপতি শাসনের আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। তবে সেই রাস্তায় নাইটে বরঞ্চ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল সরকারকে বিরম্বনায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একটা জিনিস উপলব্ধি করেছে যে, হাতে আর কয়েকটা মাস বাকি। তারপরেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে গোটা রাজ্য। তাই এখন যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতে পারে সরকার ভেঙে দেওয়ার।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি যখন রাজ্যের মানুষের মনে অনেকটাই জায়গা দখল করে নিয়েছে, তখন সেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তৃণমূলের প্রচারে পড়ে আর কাদায় পা দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই কারণে বাংলার নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি কথা বললেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অনুন্নয়নের কথা তুলে ধরে তৃণমূল সরকারকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!