এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যত সময় এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে মমতা ম্যাজিক? ঘর ওয়াপসির ঝটকায় লন্ডভন্ড পদ্ম শিবিরের সাজানো বাগান

যত সময় এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে মমতা ম্যাজিক? ঘর ওয়াপসির ঝটকায় লন্ডভন্ড পদ্ম শিবিরের সাজানো বাগান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। তুলনায় বিজেপি এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এ নির্বাচনে ২২ টি আসন লাভ করেছিল এরপর ১৮ টি আসন লাভ করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। রাজ্যে বিজেপির এই অভাবনীয় জয়ের ফলে দলের আত্মবিশ্বাসও তখন তুঙ্গে।

এসময় বহু তৃণমূল কর্মী তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী নিজেদের সবুজ জার্সি ছেড়ে রাতারাতি
গেরুয়া জার্সি পরিধান করেছিলে ও নিজেদের নতুন রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই অবস্থার কিছুটা বদল ঘটেছে। রাজ্য বিজেপির অন্দরে যথেষ্ট পরিমাণে মতান্তর, মতভেদ, অন্তর্দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেয়েছে- এমনটাই রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের দাবি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে গত একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে চলে যাওয়া অভিমানী তৃনমূল সদস্য ও নেতাকর্মীদের পুনরায় তৃণমূলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে পিকে টিমের তরফ থেকেও তৃণমূল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া অভিমানিদের দলে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে একদা বিজেপিতে চলে যাওয়া বিজেপি কর্মীরা পুনরায় তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করতে শুরু করেছেন এমনটাই সংবাদ সূত্রের দাবি।

সম্প্রতি হুগলি জেলার তারকেশ্বর ৩০০ এরও বেশি বিজেপি কর্মী বিজেপি নেতা লাল্টু বাগের নেতৃত্বে ফিরে এলেন তৃণমূলে। তৃণমূলে যোগ দিয়েই তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের আঙুল তুলে দিচ্ছেন। বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনকারী লাল্টু বাগ অভিযোগ করেছেন যে, তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন।

কিন্তু সেখানে তাঁদেরকে প্রায় গুরুত্বহীন করেই রাখা হয়েছিল। উপড়ন্ত, বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জর্জরিত, তার বিজেপির এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ তাঁদেরকেও ভোগ করতে হয়েছিল। এমনকি বিজেপিতে গিয়ে তাঁকে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছিল। এসব কারনেই তিনি ও তাঁর অনুইগামীরা বিজেপির প্রতি যথেষ্ট বীতশ্রদ্ধ হয়েছেন। একারণেই মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে সারা দিয়ে তাঁরা পুনরায় ফিরে এসেছেন তৃণমূলে।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনকারী এই বিজেপি নেতা লাল্টু বাগ নিজেদের দলবদল প্রসঙ্গে আরো জানিয়েছেন যে, তাঁরা যখন বিপদে পড়েছিলেন তখন তৃণমূল দলকেই তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে তাঁরা যে বিরাট ভুল করেছিলেন, এতদিনে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।

আর নিজেদের ভুল বোধগম্য হবার পরেই তাঁরা বিজেপি ত্যাগ করে ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন।তবে, তারকেশ্বরের বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের দলত্যাগী নেতা-কর্মীদের প্রতি যথেষ্ট ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেছে। বিজেপি সদস্যরা ও নেতারা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, বিজেপি দলে থাকা এই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তাই বিজেপি দলে তাঁদের গুরুত্ব হ্রাস করা হয়েছিল।

আর নিজেদের রাজনৈতিক গুরুত্ব হারিয়ে তাঁরা এখন তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তাদের দলত্যাগে বিজেপির কোন ক্ষতি হবে না বলে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে বিজেপি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী আছে, তাদের সাংগঠনিক শক্তিও হ্রাস পায়নি।

প্রসঙ্গত গত ১৩ ই আগস্ট হুগলি জেলার তারকেশ্বর ৩০০ এর অধিক বিজেপি কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এভাবে প্রতিদিনই বিজেপির সাংগঠনিক রক্তক্ষরণ অব্যাহত। বিজেপি নেতারা কেন নিম্ন স্তরের নেতাকর্মীদের টিকিয়ে রাখতে পারছেন না সে বিষয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উত্তর শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতাদের পারস্পরিক অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে কি বিজেপির নিচুতলার শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করেছে এমন প্রশ্ন করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!