এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের ‘উন্নয়নের নৌকায়’ আর চড়তে রাজি নন কেউ? মুখের উপর যোগদানে না করলেন এই হেভিওয়েট নেতা?

তৃণমূলের ‘উন্নয়নের নৌকায়’ আর চড়তে রাজি নন কেউ? মুখের উপর যোগদানে না করলেন এই হেভিওয়েট নেতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে উদ্যোগী হয়েছে। সেই মত করে বিভিন্ন জেলায় জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের সাংগঠনিক ব্যক্তিত্বকে নিজেদের দলে যোগদান করানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। কিন্তু এবার রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ফজলে হকের বাড়িতে গিয়ে তাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন কোচবিহার জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

কিন্তু কোনোমতেই তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করবেন না বলে অভিজিতবাবুকে জানিয়ে দেন সেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। স্বাভাবিকভাবেই সকাল-সকাল প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গিয়ে তাকে দল বদলের আহ্বান জানালেও, তৃণমূলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতির আশা যে পূর্ণ হল না, তা কার্যত স্পষ্ট। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে যুব তৃনমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ফজলে হকের বাড়িতে যান কোচবিহার জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। প্রথমে তার শারীরিক খোঁজখবর নেন তিনি। আর এরপরই দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ফজলেবাবুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন অভিজিতবাবু। আর জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতির এই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন সেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।

উল্টে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসে আছেন এবং কংগ্রেসেই থাকবেন। স্বাভাবিকভাবেই দলবদলের জন্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে আবেদন জানাতে এসেও, যেভাবে অভিজিৎ দে ভৌমিক হতাশ হলেন, তাতে গোটা বিষয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে। বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির উত্থানে ক্রমশ চাপে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার জেলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বিরোধী দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা নেতাদের নিজেদের দিকে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। আর এদিন সেই উদ্যোগ পালন করতে গিয়ে যেভাবে হতাশ হলেন কোচবিহার জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি, তাতে তৃনমূল অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন তিনি প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “এদিন দিনহাটায় প্রাতঃভ্রমণ কর্মসূচিতে এসে ফজলে হকের সঙ্গে দেখা করি। তার শারীরিক খোঁজখবর নিই। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করার কথা বলেছি। একইসঙ্গে দলে যোগদান করার জন্য আহ্বান করেছি। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এক সঙ্গে পথ চলার জন্য আবেদন জানিয়েছি। নেত্রীর প্রতি তার একটা ভালোবাসা ও স্নেহ রয়েছে।”

কিন্তু অভিজিৎ দে ভৌমিকের এই প্রস্তাবে কি বললেন কংগ্রেস নেতা ফজলে হক? জানা গেছে, দুজনের আলোচনায় একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে কোচবিহার জেলায় দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন, সেই ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই কংগ্রেস নেতা। এদিকে এই প্রসঙ্গে ফজলে হক বলেন, “তৃনমূলে একদিকে শুভেন্দু অধিকারী, আর একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কিন্তু আমি এখন সক্রিয় রাজনীতি না করলেও কংগ্রেস ছাড়ার কোনো প্রশ্ন নেই। এটা সম্পূর্ণরূপে সৌজন্য সাক্ষাত। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।”

অর্থাৎ হেভিওয়েট এই কংগ্রেস নেতাকে দলবদলের জন্য যুব তৃনমূলের নেতা আহ্বান জানালেও, তা যে কার্যত বিফলে চলে গেল, তা তার কথাতেই পরিস্কার। আর এই ঘটনাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে চরম অস্বস্তির মুখে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!