এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > যুদ্ধের আবহেই চুপিসারে এক মহাসড়ক বানিয়ে ফেলল BRO! একযোগে ঘুম উড়বে পাকিস্তান-চীনের? জেনে নিন

যুদ্ধের আবহেই চুপিসারে এক মহাসড়ক বানিয়ে ফেলল BRO! একযোগে ঘুম উড়বে পাকিস্তান-চীনের? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারতের সীমানা সুরক্ষিত করতে এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৯৬০ সালের ৭ই মে বিআরও গঠিত হয়েছিল। বর্ডার সড়ক অর্গানাইজেশন বা BRO প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সড়ক নেটওয়ার্ক বজায় রাখতে কাজ করে। এটি দেশের একুশটি রাজ্য, একটি ইউটি (আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ) এবং আফগানিস্তান, ভুটান, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে কার্যকরী। বিআরও দেশে ৩২,৮৮৫ কিলোমিটার রাস্তা এবং প্রায় ১২,২০০ মিটার স্থায়ী রাস্তা বানাতে কাজ করেছে।

সম্প্রতি জানা গেছে, তাদের এই কাজে নতুন যোগ হয়েছে একটি নতুন রাস্তা। এই রাস্তা যানবাহন চলাচলের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটন মাল বহনেরও যোগ্য। তবে ৩০ কিমি বাদে এই রাস্তা প্রায় সম্পূর্নই তৈরি হয়ে গেছে। সুতরাং সহজেই এবার সেনা এই সড়কের ব্যবহার করতে পারবে। শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে এই সড়কের মাধ্যমে সেনা সামরিক গতিবিধি চালাতেও সক্ষম হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই রাস্তা অন্য রাস্তা দুটির তুলনায় কম উচ্চতায় বানানোর ফলে বছরে ১০ থেকে ১১ মাস যানবাহন চলাচল করা যাবে। রাস্তাটির মোট দৈঘ্য ২৫৮ কিমি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই রাস্তার সুবিধা কোথায়? সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, নিম্মু-পদম-দরচা রোড নামে পরিচিত এই রাস্তা রাজনৈতিক দিক থেকে ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই রাস্তা শত্রু দেশ গুলোর নজর থেকে ভারতের সামরিকবাহিনীকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া শ্রীনগর-কারগিল-লেহ রোড আর মানালি সরচু-লেহ রোড নামের এই দুটি রাস্তা আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে থাকায়, শত্রু দেশগুলো ওই রাস্তা গুলোতে নজরদারি চালাতে পারে।

সেদিক থেকে এটা অনেকটাই নিরাপদ হবে। এছাড়া এই নতুন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে অনেক সময়ও সাশ্রয় হবে। পুরনো রাস্তা দিয়ে মানালি থেকে লেহ পৌঁছানর জন্য যেখানে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগত, সেখানে নতুন এই রাস্তার ফলে মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘণ্টায় লেহ পৌঁছানো যাবে। শুধু তাই নয়, অন্য রাস্তা দুটি যেখানে বছরের মাত্র ৬-৭ মাসই খোলা থাকে। সেই তুলনায় এই রাস্তা প্রায় সারা বছরই খোলা থাকবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও চীন সীমান্তে কয়েক মাস ধরে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তার বেশ ভালো মত রেশ পড়েছে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে। অনেকদিন ধরেই এই সমস্যার সমাধান করতে চাইলেও চীন তার স্বভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বারবার অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে সীমান্তে। এর ফলে পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে তৈরি হয়েছে যুদ্ধের পরিবেশ। সামরিক বাহিনী যেখানে সেই অবস্থা সামলাতে ব্যস্ত, সেখানে এমন একটি রাস্তা তৈরী যে প্রায় শেষের মুখে, সেই ঘোষণা এমন অস্থির পরিবেশে সামরিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্থিরতা আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!