প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2020 সালটা ভারতবর্ষের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়। করোনা ভাইরাস, পঙ্গপালের দাপট, বিভিন্ন রাজ্যে ভয়াবহ দুর্যোগের পর এবার চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দেশের বহু জওয়ানের প্রাণ চলে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায়, তা নিয়ে শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

যে বৈঠকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একথা জানানোর পরেই সকলের নজর ছিল বাংলার দিকে। কেননা সম্প্রতি করোনা ভাইরাস নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করলে সেখানে বাংলার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, বক্তার তালিকা নাম রাখা হয়নি। যার ফলে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়ত নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এবার দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেও সেখানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আদৌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা।

তবে এই ব্যাপারে অবশ্য দেশের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভিডিও কনফারেন্সের সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেশ আগে, তারপর সব।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাতেই কার্যত পরিষ্কার যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি দেশের নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী যে বৈঠক ডেকেছেন, তাতে উপস্থিত থাকছেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতির খাতিরে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত না থাকেন, তাহলে তার সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কেননা চীনের সঙ্গে ভারতের যে সংঘর্ষ হয়েছে, তা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলের কাছে এই ব্যাপারে মতামত চাইতেই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।

তাই কোনো একটি রাজনৈতিক দল যদি সেই বৈঠকে উপস্থিত না হয়, তাহলে তাদের দেশকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠে যাবে। ফলে সেই প্রশ্ন যাতে না ওঠে, তার জন্য দেশকে সবার আগে রেখে এই বৈঠকে যে তিনি উপস্থিত থাকবেন, তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন প্রধানমন্ত্রী ডাকা এই সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো বক্তব্য রাখেন কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।