এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জঙ্গলমহলে আবার গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ধ্বস নামিয়ে তৃণমূলে প্রবেশ, অস্বস্তি বিজেপিতে

জঙ্গলমহলে আবার গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ধ্বস নামিয়ে তৃণমূলে প্রবেশ, অস্বস্তি বিজেপিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবির পায়ের তলার মাটি শক্ত করলেও বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত জঙ্গলমহল সাড়া দিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে। তখন থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল, এবার হয়তো জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনে বড়সড় ধ্বস নামতে পারে। কার্যত যত সময় যাচ্ছে, ততই এই অনুমান চওড়া হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছে ভাঙনপর্ব। ইতিমধ্যেই একের পর এক পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে। একইসাথে বিজেপি থেকে প্রায় নিত্যদিন তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলছে।

এবার ঝাড়গ্রাম জেলার রোহিণী গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাত থেকে চলে গেল তৃণমূলের হাতে। কার্যত এযাবতকালে ব্যাপকভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে বিজেপি নির্বাচিত রোহিণী গ্রাম পঞ্চায়েতের 3 পঞ্চায়েত সদস্য রবিবার চলে আসেন তৃণমূলে। তাঁরা শতাধিক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাতোর হাত ধরে তৃণমূলে প্রবেশ করলেন পেট্রোপণ্যের প্রতিবাদে তৃণমূলের মঞ্চ থেকে। আর যথারীতি পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করার পরেই ঝাড়গ্রাম সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী অঞ্চলে পঞ্চায়েত বোর্ডে বিজেপি হয়ে গেল সংখ্যালঘু। যেখানে 2018 সালে 13 টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জিতে পঞ্চায়েত ভোট গঠন করেছিল বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার বিজেপির তিনজন তৃণমূলে যোগদান করায় বর্তমান তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল সেখানে 9। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিডিও অফিসে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য এবং যারা বিজেপি থেকে তৃণমূল এসেছেন সেইসব সদস্যরাও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার পরেই মুখ খুলেছেন দলত্যাগীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, 2018 সাল থেকে রোহিণী পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি।

গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করলেও বিজেপি কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক না কেন, তাঁরা উন্নয়ন কিছু করতে পারেননি। এমনকি যারা দলের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদেরকেও কোনো সন্মান দেখায়নি দল। সুতরাং কাজ করার তাগিদে তাঁরা তৃণমূলের প্রবেশ করলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গলমহলের এই সাংগঠনিক ভাঙন গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই নিয়ে অবশ্য এখনো পর্যন্ত বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে জঙ্গলমহলের এই ভাঙন যে নিঃসন্দেহে অস্বস্তি জাগাছে বিজেপির অন্দরে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!