এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জঙ্গলমহলে ছত্রধরের হাত আরও শক্ত করতে এবার বড়সড় পদ তাঁর স্ত্রীকে? জল্পনা বাড়াচ্ছেন বিরোধীরা

জঙ্গলমহলে ছত্রধরের হাত আরও শক্ত করতে এবার বড়সড় পদ তাঁর স্ত্রীকে? জল্পনা বাড়াচ্ছেন বিরোধীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গলমঙ্গল যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তালিকায় সর্বশীর্ষে রয়েছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে জঙ্গলমহল রাজ্যের শাসকদলের হাত থেকে প্রায় হাতছাড়া হতে বসেছে। জঙ্গলমহলের ক্ষমতালাভ করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দোড়গোড়ায় এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের কর্তৃত্ব ফিরে পাবার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর সে কারণেই জঙ্গলমহলের অন্যতম পরিচিত মুখ ছত্রধর মাহাতোকে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে।

আর এবার ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর পালা। জঙ্গলমহলে ছত্রধরের হাত শক্ত করতে এবার তাঁর স্ত্রী নিয়তি মাহাতোকেও দেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ পদ। জানা গিয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য পদ পেলেন ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী। সম্প্রতি কমিশনের পুরনো কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর নতুন কমিটি তৈরি হয়, আর সেই কমিটিতেই জায়গা পেলেন লালগড়ের তথা জঙ্গলমহলের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তি তথা বর্তমান তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর শ্রী নিয়তি মাহাতো। প্রসঙ্গত, এই কমিটিতে রয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সোমবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল এবং সেই বৈঠকে যোগ দিতে জঙ্গলমহল থেকে কলকাতায় আসেন ছত্রধরের স্ত্রী।

যদিও তাঁর সাথে ছত্রধর মাহাতোও ছিল। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তাঁরা। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূলের মহাসচিব জানিয়েছেন, ছত্রধর ও তাঁর স্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন সস্ত্রীক ছত্রধরদের সাথে দেখা হয়নি বলে। অন্যদিকে ছত্রধর মাহাতো এবং তার স্ত্রী নিয়তি মাহাতোকে রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার জন্য এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেত্রী জঙ্গলমহলের ভোটকে কুক্ষিগত করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সোমবার রাজ্যের একাধিক আমলা এবং জেলাশাসকের বদলির নির্দেশ দেওয়া হলো। প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে আগেই পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, আর এবার তাঁর হাতে রাজ্য ভ্যালুয়েশন বোর্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক দপ্তরের সচিব পদেও এসেছে বদল। একাধিক জেলার জেলাশাসককে নতুন দায়িত্বে আনা হয়েছে। যেমন পুরুলিয়ার জেলা শাসক ছিলেন রাহুল মজুমদার। এবার তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের যুগ্মসচিব। উত্তর 24 পরগনা জেলার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে নিয়ে আসা হল স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব পদে। উত্তর 24 পরগনার নতুন জেলা শাসক হলেন সুমিত গুপ্তা।

এর আগে তিনি ডব্লুবিআইডিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদ এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্মসচিব পদে ছিলেন। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীকে পাঠানো হল বীরভূমের জেলা শাসকের পদে। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু হলেন জলপাইগুড়ির নতুন জেলাশাসক। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক কুমার এবার এলেন উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের যুগ্মসচিব হয়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ পেলেন নদীয়ার দায়িত্ব। মূলত এই ব্যাপক বদল যে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে করা হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল।

অন্যদিকে জঙ্গলমহলকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। বরাবরই জঙ্গলমহলে উন্নয়নের ধ্বজা উড়িয়ে শাসকদল তৃণমূল ভোট পেয়েছে। কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে ছবিটা বদলে যায়। সামনে আসে দলের নিচুস্তরের প্রবল দুর্নীতি। যে কারণে জঙ্গলমহল হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের দায়িত্ব পুরোপুরি ছত্রধরের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে মনে করছে বিরোধীরা। আর সে ক্ষেত্রে একের পর এক ক্ষমতা দিয়ে ছত্রধরকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!