পদ দেখাচ্ছেন ছাত্র-যুবরাই! যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন রাজ্যজুড়ে বামেদের অক্সিজেন দিচ্ছে কলকাতা বামফ্রন্ট রাজ্য August 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের মধ্যে মানুষের রুজি-রুটি ব্যাপক প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। আর এই সময় সাধারণ মানুষদের পাশে থেকে কোন রাজনৈতিক দল তাদেরকে সাহায্য করছে, তা দেখে নিতে চেয়েছিলেন জনতা জনার্দন। তৃণমূল থেকে বিজেপি, কংগ্রেস থেকে সিপিএম, প্রত্যেকেই নিজ নিজ আঙ্গিকে সমাজসেবী হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ঘরে অন্ন পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু বামেদের ছাত্র-যুবকদের সংগঠন যেভাবে টানা 150 দিন ধরে গরিব মানুষদের মুখে এক বেলা করে অন্ন তুলে দিচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। জানা গেছে, যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিনের তরফ থেকে প্রতিদিন দুপুরে 500 থেকে 600 লোকের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয় সিপিএমের ছাত্র যুবরা। লকডাউনের সময় থেকে প্রায় দেড়শ দিনের বেশি সময় হয়ে গেল তারা এই ভাবে গরীব দুঃখী মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। আর মানুষের দুর্দিনে বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে সিপিএমের তরুণ প্রজন্ম এই কাজ করে চলেছে, তাতে রীতিমত উৎসাহিত বাম নেতৃত্ব সামনে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে মানুষের দুর্দিন এইভাবে যদি তাদের তরুণ ব্রিগেড ময়দানে নামতে শুরু করে তাহলে ভোটব্যাংকে তার প্রভাব পড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন সিপিএম নেতারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে তৃণমূল হোক বা বিজেপি, এই দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই ব্যস্ত। কিন্তু এমত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুরাবস্থার কথা ভেবে সিপিএমের ছাত্র-যুবদের সংগঠন যেভাবে টানা 100 দিনের বেশি সময় ধরে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ক্যান্টিন খুলে ভাত এবং পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার চেষ্টা করল, তা সত্যিই অভিনব। সূত্রের খবর, এদিন এই শ্রমজীবী ক্যান্টিনে উপস্থিত থেকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান প্রয়াত সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়ে অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। দীন দুঃখীদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেন তিনি। এছাড়াও এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের যুবনেতা শতরূপ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। একাংশ বলছেন, সিপিএমে অনেকদিন ধরে বৃদ্ধতন্ত্র চলছে। সংগঠনে বৃদ্ধদের আধিপত্যের কারণেই দল এখন কিছুটা হলেও কোণঠাসা। তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যদি এইরকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে বাম নেতৃত্ব, তাহলে মানুষের মনে তাদের সম্পর্কে আরও ভালো ভাবমূর্তি তৈরি হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ভোটব্যাংকে। এখন সিপিএমের এই শ্রমজীবী ক্যান্টিন তৈরি করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুফল কতটা ভোটবাক্সে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -