এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > যুবসমাজের মগজ ধোলাই করে জঙ্গী বানানোর ছক চলছে সীমান্তবর্তী এলাকায়? ঘুম উড়ছে গোয়েন্দাদের?

যুবসমাজের মগজ ধোলাই করে জঙ্গী বানানোর ছক চলছে সীমান্তবর্তী এলাকায়? ঘুম উড়ছে গোয়েন্দাদের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর কপালে কি ক্রমশ চিন্তার ভাঁজ বাড়তে চলেছে? জানা গেছে, বিভিন্ন জেলার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সভা এবং অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যুবকদের মগজ ধোলাই করার কাজ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে খবর পৌঁছেছে গোয়েন্দাদের কাছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলায় অভিযান চালিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে জঙ্গী সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, এই ব্যক্তি ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে এলাকার যুবকদের মগজ ধোলাই করতেন। তবে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদহে এরকম কোন ঘটনা ঘটছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নজরদারি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এখন গোয়েন্দারা বেশি পরিমাণে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। কেননা এখানে যেভাবে জঙ্গিদের উপদ্রব বাড়ছে বলে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে বড় কোনো বিপত্তি ঘটার আগেই এখন থেকে এই ব্যাপারে নজরদারি রাখতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহলের তরফে পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকা গুলোতে ট্রেন এবং বাস রুটের পাশাপাশি জলপথেও বাড়তি নজরদারি দেওয়া হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “মুর্শিদাবাদের মতোই আন্তর্জাতিক সীমান্ত জেলা মালদহ। তবে মালদহে বড় কোনো জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে বলে জানা যায়নি। তা সত্ত্বেও মালদহের অবস্থানগত বিষয়টি বিবেচনা করে নজরদারি করা অত্যন্ত প্রয়োজন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের দাবি, স্থানীয় যুবকদের সবথেকে বেশি টার্গেট করছে জঙ্গিরা। যেখানে তরুণ-তরুণীদের নিজেদের দিকে টানতে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে তারা মগজ ধোলাই করতে শুরু করেছে। আর এই নতুন প্রজন্মকে জঙ্গী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত করে জঙ্গিরা নিজেদের কাজ হাসিল করতে চাইছে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। স্বাভাবিকভাবেই মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে মালদহের মত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এর প্রবণতা সবথেকে বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সেই জেলাগুলোতে এখন নজরদারি রাখতে শুরু করেছে গোয়েন্দা বিভাগ।

এদিকে এই প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “এরকম কোনো বিষয় নেই‌। মালদহের সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় পুলিশ সব সময় বাড়তি নজরদারি চালায়। বিএসএফ ও পুলিশ দরকার পড়লে কো অর্ডিনেশন রেখে কাজ করে। সব ক্ষেত্রেই নজরদারি অব্যাহত।” তবে পুলিশ সুপার মুখে যে কথাই বলুন না কেন, গোয়েন্দা বিভাগের তরফে সূত্র অনুযায়ী যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলা প্রশাসন যদি এখন থেকেই এই পরিস্থিতি আয়ত্তে না আনে, তাহলে ভবিষ্যতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন থেকে গোয়েন্দা বিভাগের সর্তকতাকে মান্যতা দিয়ে সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ প্রশাসন জঙ্গী উপদ্রব আটকাতে বাড়তি তৎপরতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!