এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জ্যোতি বসুর দেখানো পথেই তাঁকেও ছাড়িয়ে গিয়ে “মহাযুদ্ধের” ডাক দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জ্যোতি বসুর দেখানো পথেই তাঁকেও ছাড়িয়ে গিয়ে “মহাযুদ্ধের” ডাক দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

1977 সালে জ্যোতি বসুর উদ্যোগে রাজ্যে বড় মাপের ব্রিগেড সমাবেশ হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরানোর লক্ষ্যে বর্তমান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ফের একটি বড় মাপের ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে কলকাতায়। যা অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে দেবে বলে আশাবাদী রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশে বর্তমান কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধীরা। আর তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই কেন্দ্রের শাসক দলকে চাপে রাখতেই প্রবল বিজেপি বিরোধী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আগামী 19 শে জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হতে চলেছে এক ঐতিহাসিক সমাবেশ।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এই সমাবেশকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কলকাতায়। জানা গেছে, বিজেপি বিরোধীতার জন্য আয়োজিত তৃনমূলের এই ব্রিগেডের সভায় থাকছে পাঁচটি মঞ্চ। যেখানে মূল মঞ্চ 44 বাই 100 ফুটের পাশাপাশি উচ্চতায় সেটি 10 ফুটের কাছাকাছি। আর এই মূল মঞ্চের পেছনেই দেশের একটি ম্যাপ এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে।

অন্যদিকে মূলমঞ্চের দু’পাশে দুটি করে মঞ্চ থাকবে। যা 4 ফুট উচ্চতার 32 বাই 24 ফুটের হবে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের নিরাপত্তায় যাতে কোনো খামতি না থাকে সেজন্য প্রতি গেটেই বসানো হবে মেটাল ডিটেক্টর ফ্রেম। ভিড়ে যাতে কারও এই সমাবেশ দেখতে অসুবিধে না হয় সেজন্য কুড়িটি এলইডি স্ক্রিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।এছাড়াও ব্রিগেডের আশপাশ এলাকা জুড়ে প্রায় এক হাজার মাইক, মূলমঞ্চে 500 চেয়ার ও ভিভিআইপি কার পারকিংয়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কিন্তু তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে ঠিক কারা কারা উপস্থিত থাকবেন সূত্রের খবর শনিবারে ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কুমারস্বামী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শারদ পাওয়ার, বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব , জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ এবং তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত সিং, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, জিগ্নেশ মেভানি সহ অন্যান্যরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু ভারতবর্ষের সবথেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কি তাহলে কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে না তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে? সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং অসুস্থ থাকার কারণে সোনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমাবেশে উপস্থিত না থাকতে পারলেও তাদের দূত হিসেবে সেখানে আসছেন লোকসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।

আর দেশের সমস্ত বিরোধীদলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা কলকাতায় তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ আসলে এদিন তার আগে নবান্নে দলীয় নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, দীনেশ ত্রিবেদী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ও ব্রায়েন, শুখেন্দু শেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিমুল হক, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, সল্টলেকের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং সহ অন্যান্যরা।

আর এই বৈঠকে মূলত সেই সমাবেশে ভিআইপি, ভিভিআইপি প্রোটোকল ও নিরাপত্তা নিয়ে একটি বিস্তর আলোচনা হয়। আর এরপরই সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “1977 সালে জ্যোতিবাবু একবার অনেককে এনেছিলেন। কিন্তু তা এত বড় হয়নি। 41 বছর ভবাদে আমরা একটি বড় ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছি। এবার মেগা রালি হবে।” সব মিলিয়ে এবার তৃণমূলের উনিশের ব্রিগেডে কারা কারা মঞ্চ আলো করে বিজেপি বিরোধিতায় সুর চড়ান এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!