এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নেত্রীর নির্দেশ মাটির কাছাকাছি থাকতে অভিনব উদ্যোগ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের, জেনে নিন

নেত্রীর নির্দেশ মাটির কাছাকাছি থাকতে অভিনব উদ্যোগ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের, জেনে নিন


সদ্য সমাপ্ত সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে কিছুটা তাজ্জব বনে গিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। এক লহমায় তারা কেউই ভাবতে পারেননি যে, গত 2014 সালে তারা 34 টা আসন পেলেও এবার তা 22 এসে নেমে যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের সাথে ঠিকমত জনসংযোগ না করলে যে হাতেনাতে ফল পেতে হয়, তা এবারের লোকসভা নির্বাচন থেকেই হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

আর তৃণমূল 22 টা আসন পেয়ে যখন ঢোক গিলছে, ঠিক তখনই বাংলা থেকে প্রায় 18 টা আসন নিজেদের দখলে নিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে গেরুয়া শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে সামনের 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ পড়ে জনসংযোগকেই মূল হাতিয়ার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি এই উপলক্ষে “দিদিকে বলো” নামে একটি কর্মসূচির সূচনা করে দলের সমস্ত জনপ্রতিনিধি নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের অভাব, অভিযোগ শোনার পাশাপাশি তাদের বাড়িতে রাত কাটানো এবং তাদের সাথে আরও বেশি করে মেশার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর নেত্রীর নির্দেশ পেয়েই সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে যেতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা হাবড়ার বিধায়ক এবং রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবরা 1 ব্লকের কুমড়ো কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। আর সেখানেই কখনও দোকানে দাঁড়িয়ে আবার কখনও বা মানুষের বাড়িতে দাওয়ায় বসে মনোযোগ দিয়ে সমস্ত কথা শ্রবণ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

এদিকে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত এবং উজ্জীবিত হতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। মন্ত্রীকে পেয়ে কেউ সেলফি, আবার কেউ-বা নিজের আপন জনকে ভিডিও কল করে মন্ত্রীর সাথে নিজেকে দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর সাধারণ মানুষের সমস্ত কথা শুনতে শুনতে ক্রমেই সন্ধ্যা নেমে আসলে রাতে দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে কলাপাতায় ভাত, ডাল, ডিম সিদ্ধ এবং আলুর চোখা খান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

আর এরপরই সারারাত ধরে কার্যত গ্রাম পাহারা দিতে দেখা যায় তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে। শুধু তাই নয়, হাবরায় অসুস্থ মানুষদের সঙ্গে দেখা করে তাদের হাসপাতালে ভর্তিরও ব্যবস্থা করলেন খাদ্যমন্ত্রী। যা দেখে অনেকেই বলছেন, এমন জনপ্রতিনিধি হলে সত্যিই সাধারণ মানুষ গর্ববোধ করবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ নির্দেশ বেঁধে দেওয়ার পরই তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা যেভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাচ্ছেন, তা যদি তারা সারা বছর ধরেই করতেন তাহলে তাদের লোকসভা নির্বাচনে এমন দুর্দশার সম্মুখীন হতে হত না।

বস্তুত, এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের উত্তর 24 পরগনায় দুটি সংসদীয় কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে পারেননি। যা তৃণমূলের থেকে বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে। যার একটি হল ব্যারাকপুর এবং অপরটি হল বনগাঁ।

যার পরে সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। আর এবার “দিদিকে বলো ” কর্মসূচিতে দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের জনসংযোগে পাঠানোর পাশাপাশি নেত্রীর নির্দেশমত জনসংযোগে গিয়ে দলীয় নেতার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে গ্রাম পাহারা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে আপনজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টা করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!