এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কাছাকাছি ও পাশাপাশি হাসিমুখে তৃণমূল ও বিজেপি, দূরেই রয়ে গেল বাম-কংগ্রেস

কাছাকাছি ও পাশাপাশি হাসিমুখে তৃণমূল ও বিজেপি, দূরেই রয়ে গেল বাম-কংগ্রেস


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য রাজনীতিতে মুখ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করছে তৃণমূল ও বিজেপি। অবশ্য লড়াইয়ের ময়দানে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাম-কংগ্রেস জোটও। তবে মুখ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে থাকলেও বিধানসভায় কিন্তু তৃণমূল ও বিজেপি- দুই দলের বিধায়কদেরই একসাথে হাসি হাসি মুখে পোজ দিতে দেখা গেল। তবে কি শত্রুতা শেষ, আর মিত্রতার শুরু? না তা কিন্তু নয়। সাংবিধানিক নিয়ম কানুনের গেরোয় পড়ে দুই শত্রু শিবিরকে হাসি হাসি মুখে ছবি তুলতে দেখা গেল ষোড়শ বিধানসভার শেষ দিনে। আসলে প্রথা হলো, বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে সমস্ত নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে একটি ফটোসেশন হয়।

আর এই ফটোসেশনেই সমস্ত বিধায়ক একসাথে বসে ছবি তোলেন। আসলে স্মৃতিটুকু ধরে রাখার অন্যতম নিদর্শন এটি বলা যেতে পারে। কারণ বর্তমান বিধানসভার যেসব সদস্য আছেন, তাঁরা আগামী দিনেও যে পুনরায় সদস্য হবেন, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে এই ছবি বিধানসভার রেকর্ডে থেকে যায় বলে জানা গেছে। তবে বিধানসভার শেষদিনে কিন্তু প্রথা রক্ষা করা যায়নি পুরোপুরি। কারণ তৃণমূল এবং বিজেপি একই ফ্রেমে এলেও বাম-কংগ্রেস কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করে দূরে সরে রইলেন। কারণ হিসেবে তারা অবশ্য জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে যেভাবে বাম এবং কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়েছে তৃণমূল, তা যথেষ্ট লজ্জার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি যারা বাম এবং কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে গেছে, তাঁরা সাংগঠনিক পদ পেলেও বিধানসভার সদস্য পদ পর্যন্ত তাঁদের খারিজ হয়নি। পাশাপাশি আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা জানান, গত পাঁচ বছরে বিধানসভায় এত কম অধিবেশন কখনো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইনসভার কক্ষ হল আসলে বিরোধীদের। কারণ যাবতীয় প্রশ্ন করা যায় এখানে দাঁড়িয়ে সরকারকে। কিন্তু এবারের বিধানসভায় সেরকম কিছুই করা যায়নি বলে দাবি বাম কংগ্রেসের। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেন, আইনসভায় সমস্ত সদস্যদেরই মর্যাদা সমান। রাজনৈতিক অবস্থান ও মতাদর্শের ফারাক কিংবা তর্ক-বিতর্ক যাই থাক না কেন, কোনরকম বৈরীতা তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।

অন্যদিকে বাম কংগ্রেসের দূরে সরে থাকা নিয়ে এদিন পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাম কংগ্রেসের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, বিধানসভার স্পিকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সবাইকে ছবি তুলতে হয় নিয়মানুযায়ী। কিন্তু যেভাবে প্রথা ভাঙা হলো, তাতে অসৌজন্য দেখানো হলো। তবে বাম ও কংগ্রেসের দাবি, এটি ছিল তাঁদের প্রতিবাদ। ফটোসেশনে শূন্যতা রাখার মধ্যে দিয়ে তাঁরা চিরকালীন একটি প্রতিবাদ জানিয়ে গেলেন। অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ফটোসেশনে না থাকার মধ্যে দিয়ে যে প্রতিবাদ বাম কংগ্রেস করে গেল, তা কিন্তু দূরত্বর সাথে সাথে বৈরীতার প্রকাশ করল অনেক বেশী। আর এই নিয়েই আপাতত বাম-কংগ্রেস সমালোচনার শীর্ষে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!