বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের পাই-পয়সা মিটিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জাতীয় রাজ্য September 14, 2019 রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক সমাবেশ থেকে গতকাল পে-কমিশন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পরে গেছে। তবে একই সাথে আরও জানান তিনি – পে-কমিশনের কাজ চলবে। এই নিয়ে আরও রিপোর্ট জমা পড়বে। আগামী ২৩ তারিখ তিনি মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন – সেখানে পে-কমিশনের দেওয়া সব কিছুই তিনি মেনে নেবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরেই বিজেপি নেতৃত্ব মাঠে নেমে পড়েছেন। এদিন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় কলকাতা বিমানবন্দরে এই নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কর্মচারীদের শোষণ করেছে। মধ্যপ্রদেশ হোক বা রাজস্থানী, কর্মচারীরার সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু আজও পশ্চিমবঙ্গে কর্মচারীদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে।” সাথেই এদিন তিনি মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে বলেন যে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার ক্ষমতায় এলে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করবে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী দেওয়া হবে বেতন। প্রসঙ্গত গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যা ঘোষণা করেন সেগুলি হলো – ১. ১ লা জানুয়ারী ২০২০ থেকে পে-কমিশন চালু হতে চলেছে ২. ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর দিয়ে গুন হবে ৩. ব্যান্ড-পে এবং গ্রেড-পে উঠে যাচ্ছে ৪. ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের রায় থাকায়, তা নিয়ে তিনি ভেবে দেখছেন ৫. এইচআরএ, মেডিক্যাল নিয়ে তিনি পরে সিদ্ধান্ত নেবেন ৬. যাঁদের বেসিক-পে, ব্যান্ড-পে এবং গ্রেড-পে মিলে ৭,০০০ ছিল তা ১৭,৯৯০ হয়ে যাবে ৭. গ্রস-পে যাঁদের ১৬,৮০০ আছে তা বেড়ে ২০,১৪৮ হবে ৮. ন্যূনতম বেসিক-পে ১৭,০০০ টাকা করা হবে ৯. গ্র্যাচুইটি সিলিং ৬ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করা হল ১০. পে-কমিশনের রেকমেন্ডেশন মানতে গেলে রাজ্য সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে আপনার মতামত জানান -