এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শাসকদলে আরও বড় ভাঙ্গনের ইঙ্গিত, নব্যদের নিয়ে দলের ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামাল দিতে বৈঠকে কৈলাশ

শাসকদলে আরও বড় ভাঙ্গনের ইঙ্গিত, নব্যদের নিয়ে দলের ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামাল দিতে বৈঠকে কৈলাশ

এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে সবথেকে চর্চিত খবর হল ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা। লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হওয়ার পর এভাবে দলের একজন দক্ষ সংগঠকের প্রতিপক্ষ শিবিরে চলে যাওয়ায় রীতিমতো হকচকিয়ে গিয়েছে শাসকদল। আর এরজন্যে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের আশা ক্ষীণ,তাই ভোটের আগে ছলচাতুরি করে তৃণমূলের ঘর ভাঙছে তাঁরা।

শুধু তৃণমূল নয়,বিগত কয়েকদিনে সিপিএম,কংগ্রেস সহ বেশ কয়েকটি দল থেকে সদস্যরা দফায় দফায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলেই খবর রয়েছে। আর এই দলভাঙনের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

গতকাল অর্জুন সিংকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে কোলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। দুপুরে জরুরি বার্তায় রাজ্য নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়,রাতেই বৈঠকে বসবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেই কথা মতো,রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ,দলের পাঁচ সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ নেতারা জরুরি কর্মসূচি সেরে দক্ষিণ কোলকাতায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করতে জমায়েত হন। আসন্ন ভোটে বিজেপির প্রার্থী তালিকা স্থির করার পাশাপাশি লোকসভা ভোটে রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয় বলেই জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে,অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে সদস্যরা দলবদল করে এসে বিজেপির প্রার্থী হয়ে যাওয়া নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট গেরুয়াশিবিরের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ,’প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করিনি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, অন্য দল থেকে এসে টিকিট, কেন্দ্রীয় সুরক্ষা সহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন কিছু লোক।’

দলীয় অন্দরে রীতিমতো এই গুঞ্জন অক্সিজেন পাওয়ায় লোকসভা ভোটের মুখে সংগঠনকে বাঁচাতে সতর্ক রয়েছে পদ্মশিবির। নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে বাংলায় বিজেপির সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা। বাংলা থেকে ২৩ আসন জয় করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে বদ্ধপরিকর দিলীপ ঘোষেরা। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রেই শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করাতে চাইছে দল।

অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রেই দাপুটে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তৃনমূলের সামনে থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি। এরকম অবস্থায় প্রতিপক্ষদের তরফ থেকে সদস্যরা বিজেপিতে চলে আসায় লোকসভা ভোটের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেল গেরুয়াশিবির।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবিবার দিল্লিতে সর্বভারতীয় বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম দফায় ১০০ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেন অমিত শাহ। আর সেটা হলে রবিবার রাতেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার দু’টি কিংবা প্রথম-দ্বিতীয় মিলিয়ে মোট পাঁচটি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!