এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাল বহত বড়া ধামাকাদার জয়েনিং হোনে বালা হ্যায়: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

কাল বহত বড়া ধামাকাদার জয়েনিং হোনে বালা হ্যায়: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়


বেশ কিছুদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে বিজেপিতে আসার জন্য রাজ্য-রাজনীতির অনেক হেভিওয়েটই নাকি পা বাড়িয়ে আছে, শুধুমাত্র বিজেপিতে যোগদান করলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে এই ভয়ে তাঁরা আপাতত তাঁদের গেরুয়া যাত্রা স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু, একবার নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলেই, দেশজোড়া যখন আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাবে, তখন নাকি গেরুয়া শিবিরে যোগদানের লাইন পড়ে যাবে। আপাতত, অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল সন্ধ্যেবেলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে।

আর বিজেপির সেই দাবিকে কিছুটা সত্যি করে, আজ দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও রাজ্যের নির্বাচনী আহ্বায়ক মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে পদার্পন করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাকেশ সিং, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ডক্টর গৌতম ঘোষ, তৃণমূলের লিগ্যাল সেল এবং রাজ্য সরকারের লিগ্যাল প্যানেলের সদস্য দেবযানী দাশগুপ্ত। এই তিনজনকে উত্তরীয় পড়িয়ে গেরুয়া শিবিরে বরণ করে নিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের মতে এই সবে নাকি যোগদানের লাইন শুরু হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাঙ্গাল কে সাথীও তৈয়ার রেহেনা, কাল বহত বড়া ধামাকাদার জয়েনিং হোনে বালা হ্যায়! অর্থাৎ, বাংলার সাথীরা তৈরী থেকে, আগামীকাল বিশাল বড়মাপের যোগদান হতে চলেছে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এবার লাইন দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন। এতদিন কার্যত পুলিশি আতঙ্কে কাটাতে হয়েছে, কিন্তু এবার আর পুলিশ দিয়ে ধমকানো-চমকানো যাবে না, ফলে নেতাদের লাইন লেগে যাবে। এছাড়াও তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছেতাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করে, রাজ্য পুলিশকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কাজে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

অন্যদিকে, নবাগতদের দলে স্বাগত জানিয়ে মুকুল রায় বলেন, বাংলায় পুলিশি রাজ চলছে, গণতন্ত্র নেই। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ সকলেই বাংলার দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে হাঁফিয়ে উঠেছে। তাই আমি বিভিন্ন জনসভায় দাঁড়িয়ে ডাক দিয়েছি – এবার বাংলা, চাল পাল্টাই। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই বিভিন্ন দলের বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে আসার জন্য প্রস্তুত। এতদিন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে শাসকদল জোর করে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্রোতের জলকে কি আর বালির বাঁধ দিয়ে আটকানো যায়? আমি আগেও বলেছিলাম, আবারো বলছি – এতদিন তো শুধু ট্রেলার দেখেছেন, আগে আগে দেখতে থাকুন কি সব ধামাকদার নাম, রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার জন্য, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের নেতৃত্বে ভরসা রেখে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!