এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিকের টিমের নির্দেশ উড়িয়ে দলের প্রভাবশালী একাংশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন? তীব্র চাপে ঘাসফুল শিবির?

পিকের টিমের নির্দেশ উড়িয়ে দলের প্রভাবশালী একাংশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন? তীব্র চাপে ঘাসফুল শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে রয়েছে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বিধানসভা নির্বাচন যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে তো অস্বীকার করার উপায় নেই শাসক দল তৃণমূলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দলের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল। স্থানে স্থানে দলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে মতান্তর, বিভেদ। প্রসঙ্গত, গত ১১ ই অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় দলের এক বিশেষ বৈঠকে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি দলের ব্লক নেতৃত্বদের ঐক্যবদ্ধভাবে চলবার ও সংগঠনের কাজ করবার বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপরও গত বুধবার ডেবরায় ব্লক সহ-সভাপতি অনুপম দাসের ডাকা তৃণমূল দলের কর্মী সম্মেলনে তৃণমূলের বেশকিছু ব্লক নেতা উপস্থিত হলেন না। যার ফলে উঠে এলো নানা প্রশ্ন ও জল্পনা। গত বুধবার ডেবরায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক বেসরকারি বিএড কলেজের প্রাঙ্গণে দলের কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি অনুপম দাস। মূলত পিকে টিমের নির্দেশেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্লক সভাপতির পরিবর্তে, ব্লক সহ-সভাপতি কেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

গত বুধবারের এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুন, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা জেলার নেত্রী মুনমুন সেন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রতন দে প্রমুখরা। কিন্তু এই সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি রাধাকান্ত মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী মূড়া, ব্লক কোর কমিটির সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য, সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধারা প্রমুখরা। তাঁরা সম্মেলনে উপস্থিত না থাকায় আবার অভিযোগ এলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বুধবারের এই কর্মী সম্মেলন সম্পর্কে ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুন জানালেন, ” পিকের টিম এই কর্মী সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছিল। রাধাদা অসুস্থ তাই আসতে পারেননি। তবে রাধাদার অনুমতি নিয়েই সহ-সভাপতি অনুপম দাস কর্মী সম্মেলন ডেকেছেন।” অন্যদিকে এ সম্পর্কে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী মূড়া জানালেন, ” দলের এমন কর্মসূচির বিষয়ে আমার জানা নেই। দলের ব্লক সভাপতি ডাকলে হয়তো নিশ্চয় জানতে পারতাম, যেতাম।” আবার এ সম্পর্কে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য জানিয়েছেন, ” আমার জানা নেই কোথায় কী কর্মসূচি হচ্ছে। আমাকে কেউ জানায়নি। সবচেয়ে বড় কথা দলের একজন ব্লক সহ-সভাপতি কী কর্মী সম্মেলন ডাকতে পারে?”

আবার এ প্রসঙ্গে সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধারার বক্তব্য, “আমার জেলার একটি বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কথা তাই থাকতে পারব না।” এভাবে দলের মধ্যে যখন আবার গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠেছে, সেই পরিস্থিতিতে ব্লকের সহ-সভাপতি অনুপম দাস জানিয়েছেন যে, তৃণমূল দলের মধ্যে কোন বিভাজন নেই। পিকে টিম ব্লক সভাপতি রাধাকান্ত মাইতিকে সম্মেলন করবার নির্দেশ দেয়, তিনি অসুথ থাকায় তাঁকে এই কর্মসূচির আয়োজন করতে বলেছিলেন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।

তবে এ সম্পর্কে ব্লক সভাপতি রাধাকান্ত মাইতি জানিয়েছেন যে, তিনি এ বিষয়ে টিম পিকের নির্দেশ পেয়েছিলেন। তবে তাঁর শরীর খারাপ ছিল। অন্যদিকে সহ-সভাপতি এই সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, ” তাঁরা যা ভাল বুঝেছে তাঁরা তাই করেছে। কিন্তু যাঁরা সম্মেলন করলেন তাঁদের সকলকে নিয়ে কর্মসূচি পালনের মানসিকতা দেখলাম না।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি তিনি ব্যস্ত থাকায় এই বিষয়টি নিয়ে তিনি পরে খোঁজ নেবেন। কোথাও কোন ভুল বোঝাবুঝি হলে, তা তিনি আলোচনায় বসে ঠিক করবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!