এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কাজের চিন্তায় পেটের চিন্তা ভুললে, পস্তাবেন আপনিই! কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কাজের চিন্তায় পেটের চিন্তা ভুললে, পস্তাবেন আপনিই! কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোজনরসিক বাঙালি। তাও যদি হয় উৎসবের মরশুম, তবে তো সোনায় সোহাগা। ভালোমন্দ খেতে মনের সবসময়েই পেটুক পেটুক ভাব। তবে মন পেটুক হলেও যে পেট বাবাজির হাড়ে হিম, সেকথা বলাই বাহুল্য। না না , একথা মোটেই আমি বলছি না, বলছেন খোদ বিশেষজ্ঞরাই।

কথায় বলে, পেট ভালো তো সব ভালো। তবে বর্তমানে কাজের চিন্তা করতে গিয়ে পেটের চিন্তা করেন ক’জন। তবে একটা কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, কাজের জন্য যে শরীরকে আপনি অবহেলা করছেন, সেই শরীর যদি ঠিক না থাকে তবে এমনিও আপনি কাজ করতে পারবেন না। তাই খাওয়ার তাগিদে কাজ নয়, কাজের তাগিদে খাওয়া হওয়া উচিৎ বলেই মনে করছেন অনেকে।

বস্তুত, অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগে। সেখানে অনিয়ম, অত্যধিক খাওয়া এমন অনেক কারণ থাকলেও উঠে এসেছে একটি নতুন তথ্য। সম্প্রতি সমীক্ষাতে দেখা গেছে আমাদের দেশের প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যায় ভোগেন। বস্তুত, অ্যাসিড বা অম্বল বটে বোঝায় এই অ্যাসিড রিফ্লাকসকেই। এছাড়া ডাক্তারদের মতে, ডিওডেনাল আলসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস)-সহ অন্যান্য কিছু কারণেও মানুষের অম্বল হতে পারে।

সেই অম্বল কারণ স্বরূপ মুখ টক হয়ে যায় মানুষের। তবে এর কারণ স্বরূপ জানা গেছে, খাদ্যাভ্যাস ও বদলে যাওয়া জীবনযাত্রাই এর প্রধান কারণ। বস্তুত, লকডাউনে মানুষের জীবনে এসেছে আমূল পরিবর্তন। বাড়িতে বসে কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক থাকছে না খাওয়ার সময়। ফলে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে।

অন্যদিকে, খাওয়ার সময় নির্ধারণ করাটাও প্রয়োজন বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ ইচ্ছেমতো যখন তখন, যা খুশি খেলে পাকস্থলীর ওপর তো তার প্রভাব পড়ে। সেই সঙ্গে মশলাদার ও ভাজা খাবার, শরীরচর্চা না করা, সেডেন্টারি লাইফ বা সারাদিন চুপচাপ শুয়ে বসে থাকা আর যা খুশি খেয়ে যাওয়া অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ায় বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে এর পাশাপাশি তা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে বলে দেখা গেছে।

সেই সঙ্গে ডাক্তারদের মতে, মাছ, মাংস বেশি খেলে এবং ফল বা সবজি কম খেলেও পেটের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে বলেই মনে করা হয়। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত মনের চাপ, ধুমপান, মদ্যপানেও অম্বলের ঝুঁকি বাড়ে। এর সঙ্গে, অনেকে ইচ্ছে মতো ব্যথার ওষুধ ও অন্যান্য ওষুধ খান, তাদেরও হজম সংক্রান্ত গোলমালের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বেশি দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ডাক্তারদের মতে, যখন যা খুশি খাবার অভ্যাসের সঙ্গে সিগারেট আর মদ্যপান করলেও এই সমস্যা দেখা যায়। তবে অন্যদিকে, কারণ ছাড়াও পেপটিক আলসার, হায়াটাস হার্নিয়া, হরমোনের তারতম্য বা পেটে টিউমার থাকলে গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা থাকে বলেই মনে করা হয়। তাই কোনও কারণ ছাড়া সবসময় এই সমস্যা চলতে থাকলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিন্তু এর অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসে ডিপ ফ্রায়েড ফুড বা ভাজা খাবার। সেই তালিকায় লুচি পরোটা যেমন আসে, তেমনই যেকোনো ভাজা থেকে শুরু করে ফ্রয়েড চিকেনও থাকে বলেই জানা গেছে। তাই অম্বলের সমস্যা থাকলে অবিলম্বে এই খাবারগুলো ত্যাগ করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন জুড়তে পারেন যে উৎসবের মরশুমে এত মেপে খাওয়া যায় নাকি। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মতে, সবই খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু বুঝে খেতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, আসলে অম্বলের সমস্যা অনেকেই বুঝতে পারেন না। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে।

সবসময় অম্বলের কারণে যে মুখ টক হয়ে যাওয়া, গলা বুক জ্বালা, বদ হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, এমনটা নয়। এটা ছাড়াও অনেক সময় অম্বলের কারণে খুব মাথা ব্যথা করে, বমি পায়। আর সবসময় খুব শরীর খারাপ লাগে। তবে যারা ঘন ঘন চা কফি খান বা অ্যাসিডিটি কমাতে কোলা জাতীয় পানীয় খান, তাদের এই সমস্যা বেশি হয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এরই সঙ্গে মুক্তির উপায় বাতলেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে কিছু নিয়ম মেনে চললে অম্বল নিয়ে কষ্ট পেতে হয় না। সেক্ষেত্রে যেটি সর্বপ্রথম করণীয়, সেখান প্রথমেই আসে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করার কথা। বাড়িতে থাকলে অনেকেরই জল পানের কথা মনে থাকে না। বাইরে গেলেও জল পান করেন না অনেকে।

তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে জল বা খাবার খেতে গিয়ে মাস্ক খুললে বিপদে পড়ার ঝুঁকি থাকে বলেই জানা যায়। তাই বাড়িতে থাকতেই বেশি জল খাওয়া ভালো মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে পুজোতে অনেকেই বাইরে খেতে ভালোবাসেন। সেক্ষেত্রে রেস্তরাঁর খাবার বাড়িতেই আনিয়ে খেলে ভালো মনে করছেন অনেকে। তবে সেক্ষেত্রে গরম করে নেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!