এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কোটি-কোটি টাকার ‘লুটেরা কাকা-ভাইপো’ জুটি হয়ে উঠেছে উদ্যোগপতি,চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!

কোটি-কোটি টাকার ‘লুটেরা কাকা-ভাইপো’ জুটি হয়ে উঠেছে উদ্যোগপতি,চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!

বিহারের কুখ্যাত ডাকাত মাধব দাস এবার পুলিশের খপ্পরে। দিন কয়েক আগেই বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে। সে এবং তাঁর ভাইপো অমিত দাস মিলে ১৮-২০ জনের ডাকাত দল বিহারের পাশাপাশি ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশাতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। সবমিলিয়ে ৪১ টি ব্যাঙ্কে এতোদিনে ডাকাতি করেছে তারা। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের দুটো ব্যাঙ্কও। এছাড়া হুগলী সহ এ রাজ্যের আরো কয়েকটি জেলায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওড়িশাতেও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি করার অভিযোগ রয়েছে। তবে মাধব ধরা পড়লেও তার ভাইপো অমিতকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তল্লাশি চলছে তার। আর দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে ধৃতকে।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট আধিকারিকদের তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ব্যাঙ্ক লুট করেই উদ্যোগপতি হয়ে উঠেছিল মাধব দাস। বিহারে ২৮ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছে বিশাল শপিং মল,কয়েক কোটি টাকা খরচ করছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তৈরি করেছেন তিনি। গয়াতে রয়েছে কয়েকশো বিঘার জমি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের মালিক সে। পুলিশ আধিকারিকরা মাধবের গ্রামের বাড়ি বারচন্ডিতেও গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায় অতি সাধারণ টালির ছাউনি দেওয়া বাড়ি তার। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ি হওয়ায় পুলিশের সন্দেহের আওতায় আসেনি। তবে মাধব বারচন্ডীর বাড়িতে খুব কম থাকতো বলেই জানা গিয়েছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতেই ঘুরে বেড়াতেন তিনি। বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বিভিন্ন জায়গায়। দামী বাইক সহ পাঁচ ছটি নামী সংস্থার গাড়ির মালিক এই মাধব ভিআইপিদের মতো জীবন কাটাতেন। বিহারের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলেও তদন্তে উঠেছে। জানা গিয়েছে পড়শি রাজ্যগুলোতে ডাকাতি করার পর সে বিহারের কোনো একটা জায়গায় আশ্রয় নিত। নিজের রাজ্যে আশ্রয় নিতে আসতো বলে বিহারে খুব একটা অপরাধ করেনি বলেই অনুমান পুলিশ আধিকারিকদের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে এ পুলিশ আধিকারিক জানান,মাধবের ডাকাতি করার কায়দা ছিল অন্যরকম। সে তার দলের লোকজনদের কমিশন দিয়ে কাজ করাত। এবং লুঠের টাকা হিসাব করার জন্য একাধিক ব্যক্তি নিযুক্ত ছিল। কোন খাতে কত টাকা খরচ করতে হবে তার পরামর্শ দেওয়ার জন্য আলাদা পরামর্শদাতা ছিল। তবে অন্যান্য ডাকাত দের থেকে মাধব আলাদা। সাধারণত দেখা যায়,লুটেরার টাকা লুঠ করে কোনো অন্যায়মূলক কাজে ব্যয় করে। জুয়া খেলা,মাদক দ্রব্যে খরচ করে। তবে মাধব তা করেনি। এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে লুঠের টাকা দিয়েই একটি স্কুল বানিয়েছেন। স্কুলটি কীভাবে তৈরি করা হবে সেটার পরিকল্পনাও করেছিলেন মাধব স্বয়ং। আরো একটা স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনাও ছিল বলে পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে। তবে ধৃতের স্থায়ী আমানতের পরিমান দেখে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা। এ প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার লক্ষীরতন মিনা জানান,আরো বেশ কিছু তথ্যের জন্য জেরা করার প্রক্রিয়া বহাল রাখা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!