প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় আছে, যে থালায় খাওয়া, সেই থালাতেই ফুটো করা। অর্থাৎ নিজের ক্ষতি নিজেই করা। এবার সেরকম অভিযোগ আনতেই শোনা গেল সোনু সুদকে। হ্যাঁ, সেই অভিনেতা যিনি রিল লাইফে ভিলেন হলেও রিয়াল লাইফে যে একজন সমাজসেবক থেকে শুরু করে একজন অসাধারণ মনের পরিচায়ক, তা গোটা লকডাউনের সময়টায় তাঁর নানা কাজে প্রমাণ পেয়েছে দেশবাসী।

তবে এতদিন নিজের সুকর্মের খাতিরে যেখানে তাঁর নাম উঠে এসেছিল খবরের পাতায়, সেখানে এবার কটাক্ষ করে সেই জায়গায় শোনা গেল তাঁর নাম। তাঁর কথায়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিছু সদস্যকে এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখে তাঁর হতাশ লাগে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁর কথায়, বলিউড এখনও দ্বিধাবিভক্ত।

আর যে মাধ্যমের সাহায্যে এটাকে পুনরায় একত্রে করা যায় তা নেই বলেই মনে করছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, এটি এমন একটি ইন্ডাস্ট্রি যা স্বপ্ন পূরণ করে। আর যেখানে কিছু মানুষ এর ওপর যেভাবে আঙ্গুল তুলছে, সেটা তাঁকে প্রভাবিত করবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই তাঁর মতে,এই অভিজ্ঞতা থেকে শিল্পের শিক্ষা নেওয়া উচিত। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবাই ভাবতে চাই আমরা একটি বড় পরিবার।

অন্যের প্রশংসা করতে বা সাহায্য করতে এখানে সবাই সীমাবদ্ধ বলেই মনে করেন অভিনেতা। সেখানে তারা যতই বলুক না যে তারা বলিউডের একটি অংশ, তবে তারা নিজেরাই সেখান থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিচ্ছে বলেই জানান তিনি। আর সেখানেই মনে করা হচ্ছে সোনু সুদ হয়ত নাম না করে কঙ্গনা রানাওয়াতকেই কটাক্ষ করেছেন। কারণ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে তিনি যেভাবে বলিউডের বিরুদ্ধে একাই যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন সেটা সকলেরই জানা।

সেখানে নেপোটিজম থেকে শুরু করে বলিউডের ড্রাগ সংযোগ একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। সেই বিতর্কে উঠে এসেছিল জয়া বচ্চন, রবিণা টন্ডন, হানসাল মেহতা প্রমুখের নাম। অনেকের মতে আবার “মনিকর্নিকা” নামক সিনেমার কাস্টিং এর সময় সোনু আর কঙ্গনা এই দুজনের মধ্যে যে মন কষাকষি হয়েছিল, সেই কারণেই অভিনেতা নাম না করে এমন কটাক্ষ করেছেন। তবে আদৌ তিনি ঠিক কার উদ্দেশ্যে এই কটাক্ষ করছেন, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়ে গেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।