এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কাল সকালে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। কত মূল্যে কত সংখ্যক ভ্যাকসিন রয়েছে সরকারের কাছে? জানুন বিস্তারিত

কাল সকালে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। কত মূল্যে কত সংখ্যক ভ্যাকসিন রয়েছে সরকারের কাছে? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে, আর মাত্র একদিনের মধ্যে শুরু হতে চলেছে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তরফে জানানো হয়েছে, ১৬ জানুয়ারী অর্থাৎ কাল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সকাল সাড়ে দশটায়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া সূচনা করবেন। দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলে মোট ৩০০৬ টি ভ্যাকসিন কেন্দ্রকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হবে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। প্রত্যেক কেন্দ্রে আনুমানিক ১০০ জন করে কাল ভ্যাকসিন পাবে বলেও জানানো হয়েছে।

বছরের প্রথম দিনই বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই বৈঠকের পরই, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমতি দায় ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন কে। অবশেষে ৩রা জানুয়ারি, ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের তরফে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়ে এই দুই ভ্যাকসিন।

কেন্দ্রীয় সরকার, ইতিমধ্যে ১.১ কোটি সিরাম ইনস্টিটিউটের কভিশিলড এবং ৫৫ লক্ষ ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ভারত বায়োটেক, চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ১৬.৫ লক্ষ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং এর তারপর বাকি ৩৮.৫ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রতি ডোজ ২৯৫ টাকা দামে দেবে ভারত সরকারকে। ভারত সরকার সিরাম ইনস্টিটিউট এর ১.১ কোটি ভ্যাকসিন ২০০ টাকা প্রতি ডোজ এর দামে দেবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউট এর কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাকসিন দুটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই, দুটি করে ডোজ দিতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে, ভ্যাকসিন কার্যকর হতে সময় লাগবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর আরও ১৪ দিন। অর্থাৎ প্রথম ডোজ থেকে দেড় মাসের পর ভ্যাকসিন কর্যাকর হবে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। ফলত, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও, কোভিড ১৯ সম্পর্কিত সমস্ত সতর্কতা বিধি মেনে চলতে হবে।

অক্সফোর্ড -অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে প্রস্তুত করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরাম ইনস্টিটিউট এর তৈরি এই ভ্যাকসিন “কভিসিল্ড” নামে ভারতের বাজারে আসবে। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের পর ৭০% কার্যকর বলা হলেও, ইতিমধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন ৯২-৯৫% কার্যকর এবং কোরোনা ভাইরাসের দ্বারা গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচাতে ১০০% কার্যকর। ভারত বায়োটকের তৈরি কোভ্যাকসিন এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা বিষয়ে কোনো তথ্য সামনে আসেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!