ক্রমশ বাড়ছে স্নায়ুর চাপ! চুপ থাকা কালিয়াগঞ্জের হিসাব বুঝতে পারছে না কোনো পক্ষই উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য November 25, 2019 নীরবতা বড়ই অদ্ভুত জিনিস। “গোপনো কথাটি রবে না গোপনে” গানে থাকলেও ভোটের প্রচারপর্বে মানুষের গোপন কথাটি কিছুতেই প্রকাশ্যে আনতে পারছেন না রাজনীতিবিদরা। হ্যাঁ, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে অবস্থা ঠিক এমনটাই। প্রায় এক মাস ধরে চলছে প্রচার। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। মানুষ তাতে সম্মতিও জানাচ্ছেন। কিন্তু চায়ের ঠেক থেকে খবরের কাগজের দোকান, 2-4 জুনের আলোচনা পর্বে কখনোই উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ আসতে দেখা যায়নি। যে ঘটনা ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে এই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। আজ সোমবার সেই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার শেষ প্রচারের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে তাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। এতদিন কংগ্রেসের প্রমথনাথ রায় এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। আর এবার তার মেয়ে ধীতশ্রী রায় এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। যাকে সমর্থন করছে বামেরা। এদিন নির্বাচনের আগে ধীতশ্রীদেবীকে কিছুটা চাপে থাকতেই দেখা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে শনিবার মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর রবিবার বাড়িতে আসা আত্মীয়দের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান এখানকার বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার। জানা যায়, বেলা কিছুটা গড়িয়ে গেলে শহরের স্কুল পাড়ায় নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেন তিনি। তবে একদিকে মেয়ের বিয়ে, আর অন্যদিকে ভোটের বৈতরণী পার হওয়া, দুই কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি যে প্রবল চাপে রয়েছেন, তা এদিন তার চোখ মুখ দেখে একফোটাও বোঝা যায়নি। এদিকে সকালের দিকে নিজের ভাড়াবাড়ি কালিয়াগঞ্জ শহরের 12 নম্বর ওয়ার্ডে অনেক মানুষের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহকে আলাপচারিতায় মশগুল হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তিনিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ময়দানে নেমে পড়েন। পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিছু রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি পর্ব সারলেও তাদের মন থেকে চিন্তা যাচ্ছে না কিছুতেই। কেননা প্রতিটি নির্বাচনেই কার দিকে পাল্লা ভারী, সেই ব্যাপারে একটা আভাস পাওয়া যায়। কিন্তু এবার কালিয়াগঞ্জে সেরকম কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। যার ফলে প্রায় সকলেই প্রবল চিন্তায় রয়েছেন। তবে তিন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই আশাবাদী, মানুষ তাদেরকেই সমর্থন করবেন। তবে মানুষের সমর্থনে জয়লাভ করবেন একজনই। তাই বিনা গুঞ্জনে আয়োজিত কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে কি হয়, তার জন্য 28 নভেম্বরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। আপনার মতামত জানান -