এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কালিয়াগঞ্জ তুমি কার? বুঝতে পারছেন না বিভিন্ন দলের ভোট ম্যানেজাররাও! চলছে 500-1000 বাজির খেলা

কালিয়াগঞ্জ তুমি কার? বুঝতে পারছেন না বিভিন্ন দলের ভোট ম্যানেজাররাও! চলছে 500-1000 বাজির খেলা


 

বিভিন্ন নির্বাচনে সাধারণ মানুষদের আলোচনায় উঠে আসে কোন প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন, আর কে পিছিয়ে রয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে এবার কিছুটা ব্যতিক্রম ভূমিকা পালন করেছেন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের জনসাধারণ। নির্বাচনের দামামা বেজেছে। প্রচার হয়েছে। আর প্রত্যেক দলের প্রার্থীদেরকেই সমর্থন জানানোর কথা বলেছেন আমজনতা।

কিন্তু সেইভাবে চায়ের ঠেক থেকে খবরের কাগজের দোকানে এই ভোট নিয়ে কোনোরকম চর্চা করতে দেখা যায়নি সেই জনতা জনার্দনকে। যার ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে বিভিন্ন দলের চানক্যরা বুঝে উঠতে পারেননি যে, তাদের বাক্সে ঠিক কতটা সমর্থন পড়বে। তবে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী বৃহস্পতিবারই প্রমাণ হয়ে যাবে যে, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র কার দখলে যেতে চলেছে!

বস্তুত এই কেন্দ্র বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। 2016 সালে এখানে জয়লাভ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রমথনাথ রায়। তারপরেই সদ্য সমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে আশ্চর্যজনকভাবে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী 57 হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন।

আর কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায় মৃত্যুতে এবার এই কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বিজেপি, তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রচার চালালেও সাধারণ মানুষের মুখ থেকে সেইভাবে ভোটবাক্সে কার প্রতি বেশি সমর্থন পড়বে, তা শুনতে পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এবার ভোটবাক্স স্ট্রং রুমে বন্দী হতেই নিজ নিজ প্রার্থীদের সমর্থন করার কথা বলে রীতিমতো একে অপরের সাথে বাজি লাগিয়ে দিলেন সেই জনসাধারনরা। ভোটের আগের দিন পর্যন্ত কোনো কথা শোনা না গেলেও এখন কালিয়াগঞ্জের প্রায় প্রতিটি দোকানেই শোনা যাচ্ছে এই নিয়ে বহুল চর্চা। কেউ বা এগিয়ে রাখছেন বিজেপি প্রার্থী কমল সরকারকে, আবার কেউ বা এগিয়ে রাখছেন তৃণমূলের তপন দেব সিংহকে।

অনেকে আবার কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হওয়ার সুবাদে এবং প্রয়াত বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মেয়ে ধীতশ্রী রায় প্রার্থী হওয়ায় এখানে সেই বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখতে শুরু করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কার জয় হবে, তা ভোটবাক্স খোলার পরেই বোঝা যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এবার এই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলই এনআরসি ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিল। লোকসভায় যেহেতু বিজেপির এখানে প্রবল সমর্থন ছিল, সেহেতু এবার এই বিধানসভা কেন্দ্রটিও বিজেপির দখলে যেতে চলেছে বলে দাবি একাংশের। তবে তৃণমূল সমর্থকরাও আশা ছাড়ছেন না।

তাদের দাবি, এখান থেকে দেবশ্রী চৌধুরী সাংসদ হয়ে গেলেও তিনি কোনো কাজ করেননি। তাই উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ তৃণমূল প্রার্থীকেই জয়ী করবেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, ভোটবাক্স খোলার আগে কোন দলের প্রার্থী জয়ী হবে, তা নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে পাঁচশো থেকে হাজার টাকার বাজি পর্যন্ত হয়ে গেছে। অনেকে বলছেন, ভোটবাক্সে যা হওয়ার তাই হবে।

কিন্তু তার আগে জনতা জনার্দন মুখ না খোলায় দুই দলের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে প্রার্থীদের মধ্যে চাপা টেনশন কাজ করছে। আর তা তাদের এই বাজি নেওয়ার ঘটনাতেই প্রমাণ হয়ে গেল। যা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন সেই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার ভোটাররা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!