কালীঘাটকেও অধিকারী গড়ের আধিপত্যের কাছে পিছু হটতে হয়? নতুন পদক্ষেপে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য August 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী শুধু একটা নাম নয়। একটা বর্তমান এবং একটা ভবিষ্যৎ। অন্তত তৃণমূলের অন্দরমহলে একথা সকলেই জানেন। মুকুল রায় বিজেপিনষতে চলে যাওয়ার পরবর্তী সময়কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যে ব্যক্তি সাংগঠনিকভাবে সবথেকে বেশি দক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসে, তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। যখন যেখানে বিপদে পড়েছে দল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের সম্রাটকে। তবে বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। দলকে এতকিছু দিয়েও তাকে গুরুত্বপূর্ণ কেন কোনো জায়গা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। বরঞ্চ একাধিক জেলার দায়িত্ব থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দিয়ে তার ডানা অনেকটাই ছেটে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারিকেও হলদিয়া রিফাইনারি টাউনশিপ মেন্টেন সরকার ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় মেদিনীপুর শহর জুড়ে । দিব্যেন্দু বাবু কে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেয়া হয় দেব প্রসাদ মন্ডল কে তবে সম্প্রতি আবার দিব্যেন্দু বাবু কে সেখানকার সভাপতি করা হয়েছে কিন্তু যে শুভেন্দু অধিকারীর কথা ছাড়া মেদিনীপুর শহর জুড়ে একটি পাতাও পারে না সেই মেদিনীপুরে তার ভাই তথা সাংসদ কে কেন এইভাবে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা দেখানো হলো তা নিয়ে এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব হলেও তার সাথে লড়াই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান ঘটাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যার ফলে পূর্ব মেদিনীপুরে এতদিন অধিকারী পরিবার শেষ কথা বললেও, এবার তাদের হাত থেকে সেই জেলার রাশ টানতে সেখান থেকে দিব্যেন্দু অধিকারীর মত নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত কালীঘাটের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া কেউ নেওয়ার ক্ষমতায় রাখতে পারত না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশের মতে, এই ঘটনাতে কিছুটা হলেও প্রমাণিত হল যে, তৃণমূলের সর্বস্তরেই এখনও পর্যন্ত কালীঘাটের হস্তক্ষেপ রয়েছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হস্তক্ষেপ ছাড়া যে কোনো কিছুই হয় না, তা কার্যত প্রমাণিত। আর তাই শুভেন্দু অধিকারী যে জেলায় বিরাজমান, সেখানেও যে তার ভাইকে সরিয়ে পরিবর্তন আনা যায় এবং তার পেছনে যে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, তা বলাই বাহুল্য। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর জেলাতেও যেভাবে পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে নতুন করে গুঞ্জন বাড়তে শুরু করল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -