এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কালীপুজোর মাঝেই তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে জরুরি বৈঠক মমতার, প্রার্থী নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত

কালীপুজোর মাঝেই তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে জরুরি বৈঠক মমতার, প্রার্থী নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত

 

তাঁর বাড়িতে ঘটা করে কালী পুজো হয়। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত নিজেই কালীপুজোর সমস্ত আয়োজন করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি, এমনকি স্বয়ং রাজ্যপালও উপস্থিত থেকেছেন।

নিজের হাতে ভোগ রান্না করা থেকে শুরু করে সকল অতিথিদের আপ্যায়ন করার দিক দিয়ে নজর কেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুধুমাত্র নিজের ঘর তো তাঁকে সামলালে হবে না‌। তিনি যেমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ঠিক তেমনই তৃণমূল দলের সর্বময় নেত্রী।

পুজোর সময় রাজ্যের মানুষ আনন্দ রয়েছে কিনা তা যেমন দেখবার দায়িত্ব রয়েছে তার, ঠিক তেমনই দলের কর্মসূচির দিকেও প্রতিমুহূর্তে নজর রাখতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাই তো রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত কালীপুজো করে সোমবার সকালে আসন্ন 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী।

বস্তুত, আগামী 25 শে নভেম্বর রাজ্যের খড়গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে।যেনতেন প্রকারেণ এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র নিজেদের হাতে রাখাই এখন শাসকদলের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ। আর তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে কালীপুজোর রাত পার হতে না হতেই খড়গপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের নেতৃত্বদের নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন খড়্গপুরের নির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, দেবাশীষ চৌধুরী, প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবিশংকর পান্ডে সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন উপলক্ষে নেত্রীর ডাকা বৈঠকে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন, ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য, উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানায়ালাল আগরওয়াল সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব।

এছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই জেলারই তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী‌। জানা যায়, এদিন বৈঠক চলতে চলতেই কালীপুজোর পরের দিন নিজের হাতে তৈরি করা দধিকর্মা সকলে পেয়েছেন কিনা, তার খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনেকে ভেবেছিলেন, দুই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকে সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু এদিনের বৈঠকে সেই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হল না। সূত্রের খবর, কারা প্রার্থী হবেন, তা সমীক্ষার ভিত্তিতে ঠিক হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, ভোররাত পর্যন্ত উপোস থেকে পুজো করে, পরেরদিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই 3 কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সেখানকার নেতৃত্বদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নিজের সমস্ত ক্লান্তিকে দূরে রেখে দলকে জেতানোই যে তারা এখন মূল লক্ষ্য, তা এই বৈঠক থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু প্রার্থী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌছোনোর পিছনে দলে যাতে গোষ্ঠী কোন্দল না হয় সেই জন্যই এরূপ সিদ্ধান্ত এবং সমীক্ষা করে প্রার্থী ঠিক করা হবে বলে জানা গেল। এখন শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক ভোটবাক্সে কতটা ফলপ্রসূ আকার ধারণ করে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!