এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কালীপুজোর রাতে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টা! দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া 5 বাইকে আগুন জনতার

কালীপুজোর রাতে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টা! দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া 5 বাইকে আগুন জনতার


 

উৎসবে কোনো অশান্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিল সকল রাজনৈতিক দলই। কিন্তু দুর্গা পুজোতেও যেভাবে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, কালিপুজোতেও সেই ঘটনা জিইয়ে থাকল। এবার কালীপুজোর রাতে শক্তি আরাধনার দিন তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দত্তপুকুর এলাকা।

জানা যায়, দত্তপুকুরের কাশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘা দাসপাড়ার বাসিন্দা মেঘনাথ দাস এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি এই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং এলাকায় শাসকদলের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি আগে তার বাবার বাড়িতে থাকলেও বর্তমানে সেখান থেকে কিছুটা দূরে নিজে বাড়ি করে সেখানে থাকেন।

সূত্রের খবর, রবিবার কালীপুজোর দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বারোয়ারিতলার কালী মন্দিরে পুজোয় যোগ দিতে যান সেই তৃণমূল নেতা মেঘনাথ দাস। অভিযোগ, সেইদিনই রাত দুটো পনেরো নাগাদ কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী সেই তৃণমূল নেতার পৈতৃক ভিটেতে গিয়ে দরজায় লাথি মারা শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দুষ্কৃতীদের ভয়ে কোনোক্রমে মেঘনাথবাবুর মা এবং দাদা ঘর থেকে বের হলে তাদের ওপর বন্দুক উঁচিয়ে মেঘনাথবাবু কোথায় রয়েছেন, তা জানতে চান দুষ্কৃতীরা। এদিকে পরিবারের তরফে মেঘনাথবাবু ঘরে নেই বলা হলেও, ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করা হয়। এছাড়াও তৃণমূল নেতাকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।

এরপরই সেই মেঘনাদবাবুর পরিবারের সদস্যরা প্রবল চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এলাকায় এসে বুড়ো বসু নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরলেও বাকিরা শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। পরবর্তীতে সেই দুষ্কৃতীকে আটকে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় এসে পুলিশ সেই বুড়ো বসুকে আটক করে।

এদিকে দুষ্কৃতীরা যে বাইক ফেলে গিয়েছিল, সোমবার সকালে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। আর কালীপুজোর রাতে তৃনমূল নেতাকে টার্গেট করা দুষ্কৃতীদের এই আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে মেঘনাদ দাস বলেন, “কপালের জোরে রবিবার রাতে আমি বেঁচে গিয়েছি। দুষ্কৃতীরা আমাকে খুন করতে এসেছিল। বিজেপির নেতারা আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল। আসলে আমাকে সরিয়ে এলাকায় প্রভাব তৈরি করা ওদের লক্ষ্য।”

তবে এই ব্যাপারে পাল্টা বিজেপির তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এলাকার বিজেপি নেতা হেমন্ত সামন্ত বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল। নিজেদের কোন্দল ঢাকতেই আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” সব মিলিয়ে কালীপুজোর রাতে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল দত্তপুকুর এলাকা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!