কালীপূজো, দীপাবলীর ভিড়, বিধি থেকে আতশবাজি কি জনতার উপরেই ছেড়ে দিল মমতার সরকার? জেনে নিন অন্যান্য কলকাতা পুজো, শাস্ত্র ও ভাগ্য বিশেষ খবর রাজ্য November 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দুর্গাপূজাতে কোর্টের রায়ের মাধ্যমেই মানুষকে প্যান্ডেল থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেসঙ্গে পুজো প্যান্ডেলগুলোকে কন্টেনমেন্ট জোন করার সঙ্গে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে বলেও মনে করেছিলেন অনেকেই। তবে সেইসঙ্গে সামনের কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজোর মত উৎসবের দিনগুলিতে মানুষকে ঘরে বন্ধ করে রাখাতে সরকারকেই কার্যকর হতে হবে বলে মনে করেছিলেন কেউ কেউ। কালীপুজো বা দীপাবলী আর বেশি দেরি নেই। অন্য বছর এমন পরিস্থিতিতে বিশেষত বাজি ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশের মানুষ সারা বছরের ব্যবসা করে নেন এই সময়তে। তবে এবছর বাজি কেনা বেচার ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি হোক সেই নিয়ে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন সংগঠনকে। বস্তুত প্রতিবছরই বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে পশুপ্রেমী এবং বিভিন্ন চিকিৎসকদেরও সরব হতে দেখা যায়। কারণ বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে যেমন একদিকে পরিবেশ নষ্ট হয় তেমন অন্যদিকে সারমেয়দের অতিষ্ঠ হতে হয়। সেইসঙ্গে আওয়াজের কারণে অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষরা কষ্ট পান। অন্যদিকে প্রতিবছরই সেই সঙ্গে নানা অঘটনের ঘটনাও সামনে আসে। তাই কালীপুজোর আগে বাজি ফাটানো বন্ধ হোক এই মর্মে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুরোধ করতে দেখা যায়। আর এবছর যেখানে করোনা মহামারীতে এমনিতেই শ্বাসজনিত সমস্যার প্রকোপ বেড়েছে, সেখানে বাজি ফাটিয়ে বায়ুদূষণ করা যে আরো বেশি ক্ষতিকর হবে সে কথাই মনে করেছেন চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে তাই রাজ্য সরকারের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক এমনই দাবি করেছিলেন অনেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত করোনার কারণে রাজস্থানে যেখানে দীপাবলিতে আতশবাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে উড়িষ্যাতে ১০ তারিখ থেকে বাকি নভেম্বর মাসটাই বাজি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে উড়িষ্যা সরকার। তবে আমাদের রাজ্যে কিন্তু এক্ষেত্রে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের “মানবিকতার” ওপরেই সমস্ত বিষয় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এক্ষেত্রে কালী পূজার প্রস্তুতি, বিসর্জন, মণ্ডপ তৈরি এই সমস্ত ক্ষেত্রে কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়মবিধি বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। বলা হয়েছে, কালী পুজোর মণ্ডপ হবে খোলামেলা। সেখানে প্রতিবার মাথায় আচ্ছাদন থাকলেও চারপাশ খুলে রাখতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে তাদের মাস্ক পরে আসা বা করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও ক্লাব এবং কমিটি গুলিকেও দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা বলতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিসর্জনের ক্ষেত্রে কোন রকম শোভাযাত্রা করা যাবে না বলেও জানানো হয়। তবে বিসর্জনের ক্ষেত্রেও প্রতিটি ক্লাব বা কমিটিকে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে বলেও জানা গেছে। বস্তুত বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি করেছিলেন অন্যান্য উৎসব গুলিতেও সমাজের সকল মানুষের সচেতনতা ও শান্তিপূর্ণ যোগদান। দুর্গাপুজোতে মানুষ এই আশা পূরণ করাতে মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছে কৃতজ্ঞ বলেই জানিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে বাজি নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠন গুলির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি রেখেছিলেন। তবে এক্ষেত্রে সরকারের অন্দরমহলের বক্তব্য অনুযায়ী মানুষ যদি নিজে সচেতন হয় সেটাই সবথেকে বড় কথা। তাই মানুষকে সচেতন করতেই সরকার বদ্ধপরিকর হবে। সেই সঙ্গে মানুষ মানবিকতার খাতিরে এবছর কালী পুজোয় মানুষ বাজি নিয়ে সংযতভাবে উৎসব উদযাপন করবে, সেই আশা রাখা হয়েছে সরকারি তরফে। আপনার মতামত জানান -