এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আয়ু শেষ হওয়ার পরে মৃতের জীবনকাল বাড়ানো যায় না – আদালতকে বললেন কল্যাণ ব্যানার্জি

আয়ু শেষ হওয়ার পরে মৃতের জীবনকাল বাড়ানো যায় না – আদালতকে বললেন কল্যাণ ব্যানার্জি


আয়ু শেষ হওয়ার পরে মৃতের জীবনকাল বাড়ানো যায় না – আদালতকে বললেন কল্যাণ ব্যানার্জি। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির দিন পন্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি আইনের পরিপন্থী এমনটাই দাবি তৃণমূলের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সামনে কল্যানবাবু এদিন বলেন, “মনোনয়ন পাশের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার পরে, অর্থাৎ বেলা তিনটের পরে মনোনয়ন পাশের মেয়াদ বাড়িয়ে মোটেই আইনমাফিক কাজ করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আয়ু শেষ হওয়ার পরে মৃতের জীবনকাল বাড়ানো যায় না।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এইদিন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের সওয়ালে এই অভিযোগ ফুটে ওঠে যে,  ”রাজ্য নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ দাস হিসেবে কাজ করছে।” তবে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ এখনো জারি। এইদিন আদালতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়ালের পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন,”রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগে কোনও ভুল করলে, তার বিচার কে করতে পারে।” কল্যানবাবু এর উত্তরে জানান, “পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী নির্বাচন শেষের তিরিশ দিনের মধ্যে সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশন বা জেলা জজের কাছে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে।” মনোনয়ন পেশের মেয়াদের বিষয়ে কল্যানবাবু মন্তব্য করেন, ”মনোনয়ন পেশের মেয়াদ ৯ এপ্রিল বেলা তিনটে পর্যন্ত ছিল বলেই তার পরে মেয়াদ বৃদ্ধি যে আইন মাফিক হয় না, ১০ এপ্রিল তা কমিশনের কাছে গিয়ে বোঝানো হয়।” এদিন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সংবিধান রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সব রকম ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও, কমিশন তার কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।” তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন দলের অভাব-অভিযোগ শুনতে নির্দেশ দেওয়ার পরে কমিশন মনোনয়ন পেশের সময় ৯ এপ্রিল বাড়িয়েছিল। সময় বাড়ানোর নির্দেশ দিতে গিয়ে কমিশন জানিয়েছিল, প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চান। কিন্তু তাঁরা তা জমা দিতে পারেননি। সেই কারণেই বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!