এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোনো জায়গায় আমাকে হারতে হলে সেই জায়গার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেব: কল্যাণ ব্যানার্জি

কোনো জায়গায় আমাকে হারতে হলে সেই জায়গার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেব: কল্যাণ ব্যানার্জি


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে বিজেপির এই রাজ্যের উত্থান ঘটছে, তাতে মুখে “বিজেপি নেই” বলে মন্তব্য করলেও নিজেদের প্রচার সভায় গিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীদের তৎপরতাই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে বিজেপির দাপটে তারা রীতিমতো ভীত। এদিকে কোনো কেন্দ্রে যদি সেই প্রার্থীরা হেরে যান, তাহলে যেখানে তারা হেরেছেন সেখানকার নেতৃত্বদের কাছ থেকে সেই ব্যাপারে জবাবদিহি চাওয়া হবে বলেও ইতিমধ্যেই দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে কড়া সতর্কবার্তা জারি করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এমতাবস্থায় এবার দলের এহেন সতর্কবার্তার কথা শোনা গেল শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে প্রথমেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে ডানকুনি পৌরসভার সংলগ্ন মাঠে কর্মীসভা করেন এই হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, স্বাতী খন্দকার, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়, কল্যাণ ব্যানার্জির নির্বাচনী এজেন্ট দিলীপ যাদব, ডানকুনি পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

আর সেখানেই দলীয় কর্মীদের কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে শ্রীরামপুরের এই তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “আপনারা যদি সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলই আমাকে হারাতে পারবে না। আর এই অবস্থার পরও যদি কোনো জায়গায় আমাকে হারতে হয়, তাহলে সেই জায়গার পঞ্চায়েত, পুরসভার সদস্য, অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতির কাছ থেকে আমি সেই হিসাব কড়ায় গন্ডায় বুঝে নেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে বিজেপির উত্থান বাড়ছে, তাতে কিছুটা হলেও ভীত হয়ে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাইতো রীতিমত দলীয় পদাধিকারীদের নিজ নিজ কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য হুশিয়ারি দিতে হচ্ছে শাসকদলকে।

এদিকে এদিনের এই কর্মীসভা থেকে এখন থেকেই যাতে দলীয় কর্মীরা দেওয়াল লিখন শুরু করে দেয় সেই ব্যাপারে সকলকে স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দান কল্যানবাবু। আর এরপরই বিজেপির উদ্দেশ্যে তোপ দেগে শ্রীরামপুরের এই তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “নরেন্দ্র মোদির ধর্মের বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে ভাগ করতে চাইছিলেন। আমরা সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে ওদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছি। সিবিআই, ইডি লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যতই চক্রান্ত করার চেষ্টা করুক না কেন, ওদের সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হবেই।”

অন্যদিকে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলেও এদিনের সভায় কটাক্ষ করতে দেখা যায় উত্তরপাড়া তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। এদিকে জিততে মরিয়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলীয় কর্মী সমর্থকদের একাধিক নির্দেশ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সিপিআইএমের প্রদীপ সাহার সমর্থনে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে বামেরা।

জানা গেছে, এদিন সকালে স্থানীয় চায়ের আড্ডায় বসে জনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাম প্রার্থী প্রদীপ সাহা। সব মিলিয়ে এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জনসংযোগকে পাখির চোখ করে ময়দানে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!