“প্রায় জেতা” আসনে কৃষ্ণনগরে “বহিরাগত” কল্যান চৌবেকে প্রার্থী করায় হতাশা ও ক্ষোভের পাহাড় নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য March 28, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে এবার এখানকার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবুই এখানে প্রার্থী হবেন বলে আশায় ছিল তার অনুগামীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সকল অনুগামী ও বিজেপির এখানকার প্রচুর কর্মী সমর্থকদের আশায় জল ঢেলে এখানে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় কিছুটা বহিরাগত হিসেবে পরিচিত কল্যাণ চৌবেকে। কিন্তু প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেও এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তার অনুগামীদের। এদিকে রবিবার থেকে কৃষ্ণনগর এসে নিজের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী করলেন চৌবে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই কল্যানবাবুর সাথে প্রচারে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের শামিল হওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেখানে না আসায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। এমনকি তার কোনো অনুগামীকেও এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাহলে কি সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু প্রার্থী না হওয়াতেই এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির একটা বড় অংশ ক্ষোভ ও অভিমানেই সেইভাবে প্রচারে বেরোচ্ছে না! প্রসঙ্গত, এই সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে এখানে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে 26 শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। জানা যায়, সত্যবাবুর একটা নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক এখানে রয়েছে। ফলে সেদিক থেকে তাকে প্রার্থী না করে কিছুটা বহিরাগত কলকাতার বাসিন্দা কল্যান চৌবেকে এখানে প্রার্থী করে তৃণমূলের জয় আরও নিশ্চিত করে দিল দল বলে মত বিজেপির একাংশ নেতা কর্মীর। এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের এক অনুগামী বলেন, “1998 সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই পদ্মফুলের পাশে জলুবাবুর নাম থেকেছে। এই প্রথমবার ওনার নাম নেই। আমরা সত্যিই হতাশ হয়েছি।” অন্যদিকে জলুবাবুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উনি দ্রুত ফিরেই প্রচার শুরু করবেন বলে জানান কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবে। এদিকে দলের একাংশ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে না নামায় যখন গোষ্ঠী কোন্দল আঁচ পাচ্ছে অনেকেই, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে নদিয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “প্রার্থী ঘোষণার পর ক্ষোভ থাকলেও এখন আর সেটা নেই। জোরকদমে প্রচার চলছে। জলুবাবুর আশীর্বাদ প্রার্থীর উপর রয়েছে। প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।” সব মিলিয়ে এখন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে দলীয় প্রার্থী কল্যান চৌবেকে জেতাতে কৃষ্ণনগরের হেভিওয়েট বিজেপির সতব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তার অনুগামীরা ঠিক কবে প্রচারে নামেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -