প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মার্চ মাসেই মধ্যপ্রদেশের রদবদল হতে দেখা যায় ক্ষমতা। যেখানে কমলনাথ সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। আর এবার সেই কমলনাথ সরকারকে ফেলে দেওয়ার পেছনে কার ভূমিকা রয়েছে, তা স্পষ্ট করলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, বুধবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বিজেপির একটি জনসভা ছিল। আর সেখানেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতাকে।

কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “আপনারা কাউকে বলবেন না। আমি এখনও পর্যন্ত কাউকে বলিনি। প্রথমবার এই মঞ্চ থেকে বলছি, কমলনাথের সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য যদি কারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, তাহলে সেটা নরেন্দ্র মোদীজির। ধর্মেন্দ্র প্রধানজীর নয়।” স্বভাবতই সরকার ভেঙে দেওয়ার কথা বলে সেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে তুলে আনলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অত্যন্ত চাপে পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর তার সঙ্গে 22 জন বিধায়ক দল ছাড়েন। আর তখনই কমলনাথ সরকার ভেঙে যায়। কিন্তু এদিন যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর নেপথ্যে রয়েছেন বলে দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা, তাতে গোটা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে গেল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় একথা বললেও, শিবরাজ সিং চৌহান অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তৎপরতাতেই কমলনাথ সরকার ভেঙেছে বলে দাবি করেন।একাংশ বলছেন, এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন রাজ্য সরকার ভেঙে দেওয়ার ছক করছেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার সেই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে।

কিন্তু এবার যেভাবে কৈলাস বিজয়বর্গীয় কমলনাথের সরকার ভেঙে দেওয়ার পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন বলে দাবি করলেন, তাতে বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র চলে এল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যে ময়দানে নামবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।