এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাননকে ফেরাতে সক্রিয় মমতা, পাঠালেন ঘনিষ্ট দূতকে,বিজেপি যোগের জল্পনা

কাননকে ফেরাতে সক্রিয় মমতা, পাঠালেন ঘনিষ্ট দূতকে,বিজেপি যোগের জল্পনা

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার জেরে ভাইয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে শোভন চট্টোপাধ্যায় ওরফে কাননকে দমকল মন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনি তৃণমূল নেত্রী। আর এই ঘটনার পরই দলের মূলস্রোত থেকে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি তার বিজেপি যোগের জল্পনা উসকে উঠতে শুরু করে।

এদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে অনুধাবন করে প্রথমে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে বারবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এগোয় যে শোভনবাবুর ঘনিষ্ঠ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে গোটা ব্যাপারটি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন তৃণমূল মহাসচিব।

কিন্তু এর পরও সেইভাবে বরফ গলতে দেখা যায়নি। তবে অবশেষে এবার হয়তো সেই বরফ গলতে চলেছে বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। কিন্তু এমন কি হল, যার কারণে এহেন দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা! সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি লাগোয়া অফিসের সব সময়কার কর্তা রতন মুখোপাধ্যায় আজ বেলা 11 টা 50 নাগাদ তৃণমূলের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, শোভনবাবুর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে দুজনের মধ্যে প্রায় ঘন্টাখানেক আলোচনা হয়। আর এই আলোচনাতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলের মূল স্রোতে ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই রতন মুখোপাধ্যায় বলে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে অবশেষে দলের সঙ্গে ফের ভালো সম্পর্ক হতে চলেছে কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়রের।

একাংশ বলছেন, শোভনবাবুর বিজেপি যোগের জল্পনা ছাড়ানোর কারণেই তাঁকে আটকাতে এহেন পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী। দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর। আর সেখানেই তারা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তার আগেই শোভনবাবুকে নিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটাতে তিনি যাতে তৃণমূলেই থাকেন, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত হলেন রতন মুখোপাধ্যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এর জেরে কি বরফ গলবে! তাহলে কি ফের দলের মূল স্রোতে থেকে কাজ করবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়!

এদিন এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রতন মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন। তবে রতন মুখোপাধ্যায়ের কথা শুনে তো শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের থেকে দূরে সরে জাননি। তাই ওর কথা শুনে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমার মনে হয় না। আমি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সেভাবেই চিনি।” তবে কি হবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ! তা অবশ্য এদিন খোলসা করেননি তিনি।

অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ রতন মুখোপাধ্যায়ের আগমন এবং বৈঠক নিয়েও দু’পক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে নিজের শেষ চেষ্টা দিয়ে প্রিয় দূতকে পাঠিয়ে ভাই কাননকে সক্রিয় করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কৌশল এখন কাজে দেয় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!