প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কঙ্গনা রানাউতের জীবন থেকে সমস্যা যেন যেতেই চাইছে না। যেখানেই যান সেখানেই যেন মুম্বাই এবং মহারাষ্ট্র সরকার তাঁর সমস্যা বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বিশ্বাস না হলেও বিগত কয়েকদিনের ঘটনা কিন্তু সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। সম্প্রতি মুম্বাই এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে নিয়ে বেশ বিতর্কে জড়িয়েছেন নায়িকা। আর তারপরই জানা যায় যে অভিনেত্রীর মুম্বাইয়ে থাকা বাংলা এবং অফিসটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা সরকার। আর যার জেরে তাঁকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি একটি টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপারে তাঁর মুম্বই পুলিশের ওপর ভরসা নেই। তাই হিমাচল প্রদেশ থেকে ফিরতে হয় হিমাচল প্রদেশ, নয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিরপত্তা চান তিনি। এই কথার পরই কঙ্গনার বিরুদ্ধে সরব হন শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি অভিনেত্রীকে মুম্বইয়ে না ফেরারই পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ নিয়ে তিনি পালটা জবাব দেন, মুম্বই বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মত। আর এরপরই প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন অনেকে। সঞ্জয় রাউতও একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন। শেষমেশ তিনি টুইট করে ঘোষণা করেন যে, ৯ই সেপ্টেম্বর তিনি মুম্বইয়ে প্রবেশ করবেন। কারও কিছু করার থাকলে যেন করে নেয়।

আরে দাঁড়ান দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। অভিনেত্রীর মান বাঁচাতে তখন মাঠে নামেন অমিত শাহ। কঙ্গনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘Y’ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেন তিনি। সেই সঙ্গে টুইট করে অভিনেত্রী লেখেন যে, এই কাজই প্রমাণ করে যে কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি আর দেশভক্তের কণ্ঠ রোধ করে রাখতে পারবে না। তিনি অমিত শাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি চাইলে অভিনেত্রীকে কিছুদিন পরও মুম্বই যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তাঁর মান রেখেছেন। মেয়েদের স্বাভিমান ও আত্মসম্মান রক্ষা করেছেন। ব্যাস এখানেই আগুনে ঘি পড়ে। আর এই কাজের জন্য অভিনেত্রীকে আচ্ছা মত শায়েস্তা করতেই মুম্বাই শিবসেনা সরকার এরকম একটা কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ব্যাপারটা জানা যায়, এদিন সকালে অভিনেত্রীর টুইট থেকে। তিনি বলেন অবৈধ কনস্ট্রাকশনের আখ্যা দিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই তাঁর বাংলোর সামনে হাজির হয়েছে সেটি ভেঙে ফেলার জন্য। জানা যায়, সকাল ১১টার কিছু পরেই কঙ্গনার অফিস ভাঙার কাজ শুরু হয়। তাই তাতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে অভিনেত্রী সত্বর বম্বে হাই কোর্টে নিজের আইনজীবীকে পাঠিয়েছেন। অভিনেত্রীর আরজির ভিত্তিতেই মামলার শুনানি শুরু হয়। আর তাতেই মামলার রায়ে BMC কে আপাতত কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। তবে বৃহস্পতিবার এই মামলার আগামী শুনানি হবে বলে জানা গেছে। কোর্ট এর পাশাপাশি নিজের কাজের কারণ স্বরূপ বিএমসিকে একটি রিপোর্ট ফাইলেরও নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।