প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিজের বিরূপ মন্তব্যের জন্য বারবার জল্পনার শিরোনামে উঠে এসেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য নিয়ে মুখ খোলায় কম কথা শুনতে হয়নি তাঁকে। তবে তিনিও তাদের ছেড়ে কথা বলেননি। একদিকে সামলেছেন নিজের কাজ, অন্যদিকে তিনিও যে সুশান্তের মত কত খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছেন সেকথা অকপটে বলেছেন সবার সামনে। তবে তাঁর চাঁচাছোলা জবাব যে যুব একটা ভালো ভাবে নেইনি অনেকে সেটাও বুঝতে বাকি নেই কারো। তবে তাঁর কথায় আবার অনেক সময় প্রকাশ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা। আর সেই নিয়েই নাকি রাগ বিরোধী দল নেতাদের।

সম্প্রতি তিনি আপাতত আছেন তাঁর হিমাচল প্রদেশের বাড়িতে। এর আগে তিনি অনেকবারই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে সেই প্রসঙ্গেই কিছুদিন আগে তিনি নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি একটি টুইটে তিনি লেখেন মুম্বই পুলিশের থেকে তিনি নিরপত্তা চান না। হয় হিমাচল প্রদেশ, নয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিরপত্তায় মানালি থেকে মুম্বই ফিরতে চান তিনি। এই কথার পরই কঙ্গনার বিরুদ্ধে সরব হন শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি অভিনেত্রীকে মুম্বইয়ে না ফেরারই পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ আবার বিনা বাঁধায় হজম করে নিতে রাজি নন অভিনেত্রী। সুতরাং তাঁর পালটা জবাব, মুম্বই বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মত। আর এরপরই প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন অনেকে। সঞ্জয় রাউতও একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন। শেষমেশ তিনি টুইট করে ঘোষণা করেন যে, ৯ই সেপ্টেম্বর তিনি মুম্বইয়ে প্রবেশ করবেন। কারও কিছু করার থাকলে যেন করে নেয়।

আর সেই নিয়েই আপাতত কঙ্গনা রানাউত বনাম সঞ্জয় রাউত দ্বৈরথ চলছিল। তবে সেটাকে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার বনাম শিব সেনা শাসিত মহারাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টে নিয়েছেন অমিত শাহ। না ব্যাপারটা হচ্ছে, কঙ্গনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘Y’ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। টুইট করে অভিনেত্রী লিখেছেন যে, এই কাজই প্রমাণ করে যে কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি আর দেশভক্তের কণ্ঠ রোধ করে রাখতে পারবে না। তিনি অমিত শাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি চাইলে অভিনেত্রীকে কিছুদিন পরও মুম্বই যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তাঁর মান রেখেছেন। মেয়েদের স্বাভিমান ও আত্মসম্মান রক্ষা করেছেন। ব্যাস, তাহলেই বুঝে নিন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে গ্যাংস্টার ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করা নায়িকা, একাধিক জাতীয় পুরষ্কারের সঙ্গে পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। একসময় তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ওঠে। সেই সময় তিনি বলেছিলেন তাঁর পরিবার ১৫ বছর ধরেই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কাছে আগেও অনেকবার ভোটে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তাব এসেছে। তাই তিনি চাইলে অনেক আগেই রাজনীতিতে যোগ দিতে পারতেন। তবে অতীতের মত বর্তমানেও তাঁকে অভিনয়ের জগৎ ছেড়ে, অন্য কোথাও দেখা যাবে না বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তবে যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন তাতে ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে!