এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দেবীপক্ষে রক্তাক্ত কন্যাশ্রীরা! যৌন হেনস্থার অভিযোগে ঢাকুরিয়ায় অভিভাবক-পুলিশ তুলকালাম

দেবীপক্ষে রক্তাক্ত কন্যাশ্রীরা! যৌন হেনস্থার অভিযোগে ঢাকুরিয়ায় অভিভাবক-পুলিশ তুলকালাম

পিতৃপক্ষের সময় মা বোনেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এবার সেই প্রশ্ন ফের অব্যাহত থাকল দেবীপক্ষের সময়ও। যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আন্দোলন, লাঠিচার্জে ফেটে পড়ল কোলকাতার ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? যার কারনে দেবীপক্ষের পুন্যলগ্নে উত্তপ্ত হল এই স্কুল! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসলামপুরের দাড়িভিটের ছাত্রমৃত্যু নিয়ে গত 26 সেপ্টেম্বর একটি বনধ ডেকেছিল বিজেপি। সেদিন স্কুলে ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। অভিযোগ, এই সুযোগে সেই স্কুলেরই এক শিক্ষক এক ছোট্ট ছাত্রীকে দোতলার 10 নম্বর রুমে শাসন করার নামে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করে। আর এরপর সেই ছোট্ট শিশুকন্যাটির শ্লীলতাহানি করেন ওই শিক্ষক। সেদিন স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে সেই ছাত্রীটি তার মাকে জানালেও বাড়ির লোক ব্যাপারটাকে সেইভাবে তোয়াক্কা না করলেও দুদিনের মাথায় সেই ছাত্রীটির প্রবল জ্বর আসায় হুশ ফেরে সকলের। আর তখনই পরিবারের তরফে জিজ্ঞাসা করলেও সব ঘটনা খুলে বলে সেই ছাত্রীটি। আর এই ঘটনার বহুদিন কেটে গেলেও মঙ্গলবার সেই ঢাকুরিয়া স্কুলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কিছু অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

সূত্রের খবর, স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক কর্মকারকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া হলে বাইরে সেই অভিযুক্ত শিক্ষকের মোটরবাইক পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এদিকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিসি কল্যান মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে চার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হলে তাদের ছাড়ানোর দাবি তোলেন অভিভাবকেরা। এদিকে এই গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। কিন্তু 26 সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটলেও কেন এতদিন পরে সেখানে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে নিগৃহিতা ছাত্রীর মা বলেন, “আমি নিজেও ডেঙ্গুতে অসুস্থ এবং আমার মেয়েও অসুস্থ ছিল।” তবে এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা রায়। তিনি বলেন, “26 সেপ্টেম্বর সিসিটিভি দেখে কোনোও অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। আর 10 নং রুমে সিসিটিভি না থাকলেও 9 টা পর্যন্ত সেখানে পড়ুয়া এবং অন্য শিক্ষকেরা থাকেন। সেখানে কোনো ঘটনা ঘটলে সকলের চোখে পড়ত।” অন্যদিকে এই গোটা ঘটনায় স্কুল কতৃপক্ষের সমালোচনা করার পাশাপাশি আন্দোলনকারী এবং অভিভাবকদের ওপর পুলিশি লাঠিচার্জের তীব্র সমালোচনা করেছেন অভিভাবকদের নিয়ে তৈরি গার্জিয়ানস ফোরামের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। এদিকে এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানিয়েছে ঢাকুরিয়া বিনোদিনী গার্লস স্কুল কতৃপক্ষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!