এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কার পরামর্শে জঙ্গলমহলেও শুভেন্দুর পায়ের তলার মাটি ‘কেড়ে’ নেওয়া হল? জল্পনা তৃণমূলের অন্দরেই

কার পরামর্শে জঙ্গলমহলেও শুভেন্দুর পায়ের তলার মাটি ‘কেড়ে’ নেওয়া হল? জল্পনা তৃণমূলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্যের শাসক শিবির তথা তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে জোর তৎপরতা শুরু করেছে। আর তার জেরেই তৃণমূল সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে এবার। হয়েছে ব্যাপক আকারে সাংগঠনিক রদবদল। মনে করা হচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে টেক্কা দিতে এবার ঘাসফুল শিবিরের এই উদ্যোগ। কিন্তু এই উদ্যোগের পাশাপাশি এবার তৃণমূল অন্দরেই শুরু হয়েছে চাপা বিক্ষোভ বলে জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলীয় দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এছাড়াও কিছুকাল আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হয় বলে জানা গেছে। আর এবার সাংগঠনিক পরিবর্তনে শুভেন্দুকে যেভাবে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হল, তাতে বিভেদের দেয়াল স্পষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জঙ্গলমহলে কর্তৃত্ব কায়েম করতে এবার তৃণমূল নেত্রী দায়িত্ব দিলেন আদিবাসী প্রতিনিধি ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদাকে এবং কুড়মী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি গোপীবল্লভপুর এর বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতোকে। এই দুজনকে তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বোঝাই যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট নন, এমন নেতাদেরই এবার ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূল শিবিরে পুরোভাগে আনা হয়েছে। অন্যদিকে যে জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই পর্যবেক্ষক পদটিকেই এবার তুলে দেওয়া হলো। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, জঙ্গলমহলের মাটি ফিরে পেতে প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা সভানেত্রী বীরবাহা সরেনের বদলে আনা হয়েছে দুলাল মুর্মুকে।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। অন্যদিকে সুকুমার হাঁসদার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। আবার চূড়ামণি মাহাতো শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী নন বলেই খবর। একমাত্র দুলাল মুর্মুর সঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারীর ভালো সম্পর্ক। অন্যদিকে নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন উজ্জ্বল দত্ত। তার সঙ্গে ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছে অজিত মাহাতোকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জানা যায়, অজিত মাহাতো বীরবাহা সরেনের অনুগামী। তাই চেয়ারম্যান পদে থাকলেও বীরবাহার গুরুত্ব বজায় রাখতে কিছুটা প্রচ্ছন্নভাবে অজিতের পদ পাওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে একদিকে যেমন ছত্রধর মাহাতো এসেছেন রাজ্য সংগঠনে, সেরকম অন্যদিকে যুব তৃণমূল সভাপতি দেবনাথ হাঁসদাও এসেছেন সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতির পদে। তাঁর বদলে সাঁকরাইল ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে শান্তনু ঘোষকে। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে সভাপতির পদে এসেছেন অজিত মাইতি।

এই অজিত মাইতির আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন দিনেন রায় আগের মতোই। তবে জেলা কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মানস ভূঁইয়া, শিউলি সাহা এবং প্রদীপ সরকার। এদের প্রত্যেকের উপর পনেরোটি বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে মানসের দায়িত্বে রয়েছে কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়, দাঁতন, সবং, পিংলা। প্রদীপের দায়িত্বে রয়েছে, মেদিনীপুর, খড়্গপুর সদর, খড়্গপুর গ্রামীণ, দাসপুর, শালবনি।

এবং শিউলির হাতে রয়েছে, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, কেশপুর, ডেবরা। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরে যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি রয়ে গেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। তবে যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কেশিয়াড়ির কল্পনা শীট। তবে রাজ্য কমিটিতে মেদিনীপুরে নির্মাল্য চক্রবর্তীর জায়গা হয়নি। আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন সাঙ্গগঠনিক রদবদলের মধ্য দিয়ে শুভেন্দু অনুগামীদের কিছুটা ব্যাকফুটে রাখতে চাইলেন দলীয় নেতৃত্ব।

সে জায়গায় এবার ফ্রন্টফুটে খেলতে নামছেন অভিষেক অনুগামীরা। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবে কার্যক্ষমতাহীন করে তোলায় দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে বিতর্ক। অনেকেই এ ব্যাপারটি ভালোভাবে নিচ্ছেনা বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বোঝাই যাচ্ছে, এই বিতর্কের রেশ আগামী দিনেও থাকবে। তবে রাজনীতিতে কখন কী হয়, তা কেউ বলতে পারেনা। তাই আগামী দিনে শাসকদলে যে আবার কোনো চমক আসবে না, তার কোনো কিন্তু নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!