এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কারা কারা আগে পাবেন করোনা ভ্যাকসিন, জেনে নিন কারা পাচ্ছেন অগ্রাধিকার!

কারা কারা আগে পাবেন করোনা ভ্যাকসিন, জেনে নিন কারা পাচ্ছেন অগ্রাধিকার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আগামী বছর গোড়ার দিকেই ভ্যাকসিন নিয়ে আসার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বহু ভারতীয় সংস্থাকে। তবে তারই মধ্যে শোনা গিয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট, বায়োটেকের মত সংস্থাগুলির নাম। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছে ভারত বায়োটেক। আর তাই টিকা বিতরনের জন্য কেন্দ্র যে গাইডলাইন বানাতে শুরু করেছে সে কথা জানানো হয়েছে।

তবে এই গাইডলাইন অনুযায়ী দেশের যে ৩০ কোটি মানুষকে আগে করোনার টিকা দেওয়া হবে, বা কারা কারা আগে সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন, সেই নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। সেখানে জানানো হয়েছে পেশা, বয়স ইত্যাদির গুরুত্ব বিচার করে টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া নিয়ে ভাবা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপাতত চারটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

১) এক্ষেত্রে প্রথমেই রয়েছেন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এদের মধ্যে এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী তথা ডাক্তার, নার্স, আশা কর্মীরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ারা থাকবেন বলে জানা গেছে।

২) এছাড়া দু ‘ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার বা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের এই ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে। এই দলে পুরসভার কর্মীরা, পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা এবং সশস্ত্র বাহিনী থাকবে বলে জানান হয়েছে।

৩) এরপর দেশের ৫০ বছরের উর্ধ্বে ২৬ কোটি প্রবীণ নাগরিকদের এই দলে রাখা হয়েছে। বস্তুত যে সমস্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরে কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

৪) এরপর স্পেশাল ক্যাটেগরিতে রয়েছে এক কোটি মানুষ। যাদের বয়স ৫০ বছর কম, কিন্তু যাঁদের শরীরে অন্যান্য রোগ রয়েছে তাঁরা এই ক্যাটেগরিতে পড়বেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানান, সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে করোনা আক্রান্তদের ৬০ শতাংশের বয়সই ৪০ বছরের মধ্যে। এছাড়া সেই আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের শরীরেই হার্টের রোগ, ক্রনিক লিভার ও কিডনির রোগ, হাইপারটেনশন, ফুসফুসের সংক্রমণ, ডায়াবেটিসের মতো রোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে অনেকে ক্যানসারের মতো মারণ ব্যধিতেও আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।

ফলত টিকার অগ্রাধিকারের তালিকায় এঁরাও থাকবেন বলেই জানা গেছে। এদিন জানা গেছে, আগামী বছরের শুরু থেকেই দেশি ও বিদেশি কোম্পানিগুলি থেকে করোনার প্রতিষেধক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিকার উত্‍পাদন ও বন্টন প্রক্রিয়ার নজর দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটি টিকার সংরক্ষণের জন্যও রূপরেখা তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।

আর তাই ভ্যাকসিনের উত্‍পাদন, বিতরণ এবং সংরক্ষণের জন্য আলাদা আলাদা টিম তৈরি হয়েছে বলেও জানা গেছে। সেই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজের জন্য রাজ্যগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে দেশে বর্তমান কোল্ড স্টোরেজগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে। টিকার ডোজ নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করার সময় আধার কার্ডের নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেও এদিন জানা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!