কার্গিলের অন্যতম নায়ক এখন ক্যান্সার নিরাময়ের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের পথে জাতীয় রাজ্য July 9, 2018 একটা সময় ছিলো যখন তাঁর একটাই ধ্যান জ্ঞান লক্ষ্য ছিলো কার্গিলের যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের দ্রুত সুস্থ করে তোলা। এখনও একই ভাবে নিজের লক্ষ্যে অবিচল তিনি। তবে হ্যাঁ এখন আর যুদ্ধক্ষেত্রে কর্তব্যরত নয় তিনি। দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের অল্প সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করে দ্রুত সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে নিযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির মানুষ ডাঃ মুকুরদীপি রায়। প্রসঙ্গতঃ দেহে নাভির নীচের অংশে যে নানা ধরনের ক্যানসার হয়ে থাকে, সেই আক্রান্ত কোষগুলিকে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়ার একটি সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন সার্জিক্যাল অঙ্কোলজির এই বাঙালী চিকিৎসক। তাঁর এই আধুনিক এবং উন্নত প্রয়াস কে সাধুবাদ জানিয়েছে আপামর বিশ্ববাসী। উল্লেখ্য বছর ২ আগে ‘ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব মেথোডলজি’ তাঁর ‘রিভার ফ্লো’ পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয় । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এরপরে সেই পদ্ধতি মেনেই গত দু বছর ধরে তার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই চিকিৎসক গত দুবছরে প্রায় ১০৫টি ছোট-বড় অস্ত্রোপচার করেছেন। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত মোট ১০৫টি অস্ত্রোপচারে সাফল্য আসায় ‘রিভার ফ্লো’র প্রয়োগকেও ‘ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব সার্জারি’ স্বীকৃতি দিয়েছে । চিরাচরিত পদ্ধতিতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে কোমরের নীচে অস্ত্রোপচার করলে ক্ষতস্থান শুকোতে দীর্ঘ সময় লাগে। ডাঃ মুকুরদীপি রায় এই প্রসঙ্গে বিশদে জানিয়ে বললেন, ”অর্ধেকের বেশি রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অস্ত্রোপচারের পরে আবার সেই ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হওয়ায় রোগীরা ফের হাসপাতালে ফিরে আসেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেলাইয়ের স্থানের চামড়া গলে যায়। ফলে শরীরের অন্য জায়গা থেকে চামড়ার সঙ্গে পেশি তুলে নিয়ে এসে সেই ক্ষতস্থান ভরতে হয়। এতে এক দিকে সেই রোগী ও তাঁর পরিবারের হয়রানি হয়। অন্য দিকে পুরনো রোগীরা হাসপাতালে থাকার ফলে জায়গা পান না নতুনরা।” ভারতীয় সেনার ওই প্রাক্তন মেজর এদিন দাবি করে বললেন, ”আমার নতুন পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের স্থান এমন ভাবে নির্বাচন করা হয় যাতে ধমনী কেটে না যায়।” শুধু তাই নয় অ্যানোরেক্টাল, গাইনোকলোজিক্যাল ক্যানসারের ক্ষেত্রেও ওই নতুন পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর ও এতে রোগীদের বেঁচে থাকার মেয়াদও অনেক বেড়ে যায় বলে দাবি করলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -