এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করিমপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিশেষ সতর্ক প্রশাসন, নেওয়া হলো নয়া পদক্ষেপ

করিমপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিশেষ সতর্ক প্রশাসন, নেওয়া হলো নয়া পদক্ষেপ

গত লোকসভা নির্বাচনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বাংলায় বিজেপির সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট 40.30 শতাংশ বেড়ে গেছে। পাঁচ বছরে তাদের আসন সংখ্যা দুই থেকে বেড়ে হয়েছে 18। অন্যদিকে রাজ‍্যে লোকসভা নির্বাচনে 42 টি আসনের মধ্যে মাত্র পাঁচটি আসনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কে।

 

গত লোকসভা ভোটে বিজেপির দূর্বলতম জায়গা ছিল করিমপুর। এবার করিমপুরে উপনির্বাচনের পালা। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করিমপুরের সীমান্ত এলাকা জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চলেছে প্রশাসন। আগামী 25 শে নভেম্বর করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 77 করিমপুর, 34 কালিয়াগঞ্জ ও 224 খড়্গপুর সদরে আগামী 25 শে নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। ভোট গণনা করার কথা 28 শে নভেম্বর। গত লোকসভা ভোটে করিমপুরের বিধায়ক তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর থেকে জিতে সাংসদ হয়ে যান। আর তারপরই এই পদটি পূরণের জন্য উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর করিমপুর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা চোখে পড়ার মতন।

অন্যদিকে, প্রশাসনও করিমপুর নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায়। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে নদীয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানিয়েছেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে ভোটের জন্য নাকা চেকিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”করিমপুর বিধানসভায় দীর্ঘ 39 বছর ধরে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহুয়া মিত্র বামফ্রন্টের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে পরাজিত করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তৃণমূলের করিমপুর 1 ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা জানিয়েছেন, “গত তিন বছরে এলাকার বিধায়ক মানুষের উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছেন। লোকসভা ভোটেও করিমপুর বিধানসভায় বিজেপির থেকে সাড়ে 14 হাজার ভোটে তৃণমূল এগিয়েছিল। এবারের উপনির্বাচনেও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মার্জিনও বাড়বে।”

অন্যদিকে, বিজেপি নদীয়া জেলার উত্তরের সভাপতি মহাদেব সরকার তরুণ সাহার বক্তব্যের পাল্টা দাবি জানিয়ে বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের শামিল হতে দলে দলে মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। করিমপুরের মানুষ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাস আর হিংসার কথা ভুলে যাননি। বিজেপি করিমপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করতে পেরেছে। এবারের ভোটেও এলাকার মানুষ তৃণমূলকে জবাব দেবেন।”

অন্যদিকে আরেক রাজনৈতিক দল সিপিএমের করিমপুর এরিয়া কমিটি সম্পাদক আসাদুল খান জানিয়েছেন, “উপ নির্বাচনে সিপিএমের ভোটের হার বাড়বে।”সমস্ত পরিস্থিতি নজরে রেখে করিমপুর নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সীমান্ত এলাকা হওয়াতে রাজনৈতিক দলগুলি তার সুযোগ নিতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। আর তার জন্যই তাঁরা সীমান্ত এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে চলেছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, করিমপুরকে নিয়ে বিজেপি যেভাবে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রথম থেকে এবং নির্বাচনী প্রচার সেখানে যেভাবে হচ্ছে, তাতে আপাতত বিজেপির দিকে যে পাল্লা ভারী সে কথা বলাই যায়। আপাতত করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সাথে প্রশাসনেরও কড়া নজর থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!